বাকু : তুরস্কের গোলাগুলি রুখে বিজয়কেতন উড়িয়েই ইউরোপ যাত্রা শুরু করল ওয়েলশ। অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের পেনাল্টি মিস সত্বেও অ্যারন র্যামসি ও কনর রবার্টসের গোলের সুবাদে জিতল রব পেজের প্রশিক্ষণাধীন দল। ম্যাচের ফলাফল ২-০ হলেও গোটা খেলা জুড়েই যেভাবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘাত-প্রতিঘাত চলল, তার সঠিক প্রতিফলন হয়তো হয়নি। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষের আগে গোলের খাতা খোলার পর শেষপর্বে রক্ষণে জোর দিয়ে ম্যাচ বের করে শেষ ষোলো কার্যত পাকা করে নিল ওয়েলশ। গ্রুপ এ-র প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। আর এই ম্যাচে জিতে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে শেষ ষোলোর রাস্তা কার্যত পাকা করে ফেলে ওয়েলশ।
খেলার প্রথম গোলটি হয় ৪৩ মিনিটে। গ্যারেথ বেলের দুরন্ত ক্রস ধরে ইগুরগান সাকিরকে দাঁড় করিয়ে গোল খুঁজে নিতে ভুল করেননি জুভেন্তাসের মিডফিল্ডার অ্যারন র্যামসি। গত ১৪ ম্যাচে মাত্র একবার হারের মুখ দেখা ওয়েলশ ফেভারিট হয়েই খেলতে নেমেছিল। খেলার শুরু থেকেই বলের দখল নিজেদের দিকে রেখে আক্রমণে ঝড় তোলে ওয়েলশ। তবে বেল-র্যামসি-জেমসের বারবার আটকে যেতে হয় তুরস্কের গোলরক্ষক সাকিরের কাছে। র্যামসির দুটো প্রয়াস আটকান তিনি, তবে শেষমেশ প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার অল্প আগে গোলের খাতা খোলেন তিনি। আর পেনাল্টি মিস করলেও সংযোজিত সময়ের খেলার শেষ মিনিটে গ্যারেথ বেলেরই সাজিয়ে দেওয়া বল ধরে ওয়েলশের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন কনর রবার্টস।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ইলমাজ-চেনালাগ্লুরা অল আউট আক্রমণে ঝাঁপান। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে ওয়েলশের রক্ষণভাগে। এই পর্বেই অবশ্য কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলার সুযোগ এসে গিয়েছিল ওয়েলশের কাছে। খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় বক্সের ঠিক মাথায় গ্যারেথ বেলকে ফাউল করে বসেন জেকি সেলিক। যা থেকে সঙ্গতকারণেই পেনাল্টি পায় ওয়েলশ। গ্যারেথ বেল অবশ্য স্বভাববিরুদ্ধেভাবে যেক্ষেত্রে বল বাইরে মেরে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। তার কিছুটা আগেই র্যামসির আরও একটি দুরন্ত শট আটকান তুরস্কের গোলরক্ষক।
খেলার শেষ মিনিট তিরিশ খেলা কার্যত হয়েছে ওয়েলশের হাফেই। এই পর্বে ওয়েলশের গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড। তুরস্কের মরিয়া চেষ্টার মাঝে খেলার সংযোজিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে বেলের সাজানো বল ধরে কনর রবার্টসের গোলে জয় পেয়ে শেষ ষোলোর রাস্তা পাকা কার্যত পাকা করে ফেলল ওয়েলশ।