কোপেনহেগেন: ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়া ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর আসায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। ফের শুরু হয় ইউরো কাপে গ্রুপ বি-র ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচ। কিন্তু মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলেন না ডেনমার্কের ফুটবলাররা। না হলে ক্যাসপার স্মিমিচেলের মতো অভিজ্ঞ ও দক্ষ গোলকিপার কেন এভাবে গোল খাবেন? পিয়ের হোবার্গই বা কেন পেনাল্টি নষ্ট করবেন? তবে ডেনমার্কের ফুটবলাররা যতই মানসিক চাপে থাকুন না কেন, প্রথমবার ইউরো কাপ খেলতে নেমেই ফিনল্যান্ডের জয়কে কোনওভাবে খাটো করা যাবে না। দুরন্ত লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিল ফিনল্যান্ড।
ফুটবলের এত বছরের ইতিহাসে এরকম ঘটনা খুব কমই হয়েছে, যেখানে খেলা চলাকালীন একজন খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ায় এতক্ষণ বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হল খেলা। কোনও বড় প্রতিযোগিতায় এটাই ছিল ফিনল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচ স্মরণীয় তো বটেই, ঘটনাবহুলও হয়ে থাকল। তবে ম্যাচ জিতেও সেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারলেন না ফিনল্যান্ডের ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, এমনকী সমর্থকরাও। কারণ, সবাই তো এরিকসেনকে নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। সেই মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়।
ফের যাক ম্যাচের কথায়। প্রথমার্ধের শেষদিকে সংজ্ঞা হারান এরিকসেন। সেই অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। ফের খেলা শুরু হওয়ার পর ডেনমার্কের আক্রমণই বেশি ছিল। কিন্তু ফিনল্যান্ডের ফুটবলাররাও ছাড়ার পাত্র ছিলেন না। তাঁরা সমানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ৫৮ মিনিটে জোরাল হেডে গোল করেন জোয়েল পহানপালো। স্কিমিচেল আরেকটু তৎপর থাকলে হয়তো এই হেড সেভ করে দিতে পারতেন না, কিন্তু দিনটা তাঁদের ছিল না। গোল হজম করার পর খেলায় সমতা ফেরানোর অনেক চেষ্টা করে ডেনমার্ক। ৭২ মিনিটে এসে যায় সুবর্ণ সুযোগ। বক্সের মধ্যে ইউসিফ পোলসেনকে অবৈধভাবে বাধা দেন ফিনল্যান্ডের পওলাস আজাউরি। পেনাল্টি পায় ডেনমার্ক। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন হোবার্গ। এরপর আর কোনও সুযোগ দেয়নি ফিনল্যান্ড। তারা তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে।