লন্ডন: ঘরের মাঠে জার্মানিতে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয় পেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
৭৫ মিনিটে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। দুর্দান্ত টিমওয়ার্কের ফলে গোলটি আসে। প্রথমে হ্যারি কেন বল পেয়ে বাড়িয়ে দেন গ্রিলিশের উদ্দেশে। গ্রিলিশ বল দেন লুক শ-কে। শ লেফট উইং থেকে নিচু ক্রস বাড়ান। সেই ক্রসে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন স্টার্লিং।
৮১ মিনিটে গোল শোধ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। কিন্তু সেই সুযোগ হেলায় হারান টমাস মুলার। তিনি ইংল্যান্ডের গোলকিপার পিকফোর্ডকে একা পেয়েও বল গোলে রাখতে ব্যর্থ হন।
এরপর আর কোনও সুযোগ পায়নি জার্মানি। ৮৬ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান বাড়ান হ্যারি কেন। এবারও দুর্দান্ত দলগত খেলার সুফল পায় ইংল্যান্ড। এই গোলের পিছনেও গ্রিলিশ, লুক শ, কেন ও স্টার্লিং ছিলেন। প্রথমে বল পান শ। তিনি সেই বল বাড়িয়ে দেন গ্রিলিশকে। লেফট উইং থেকে ক্রস করেন গ্রিলিশ। ডাইভিং হেডে জার্মানির গোলকিপার ম্যানুয়েল ন্যুয়েরকে হার মানান কেন।
এর আগে ইংল্যান্ড শেষবার জার্মানির বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ। বার্লিনে সেই ম্যাচে ০-২ পিছিয়ে পড়েও ৩-২ জয় তুলে নিয়েছিল ব্রিটিশরা। ৯০- মিনিটে দুরন্ত হেডে জয়সূচক গোল করেছিলেন এরিক ডায়ার। তার আগে ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেন কেন ও জেমি ভার্ডি। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পরে ফের জার্মানির বিরুদ্ধে জয় পেল ইংল্যান্ড।
এদিনের ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি। কিছুটা চড়া মেজাজে খেলা হচ্ছিল। দু’দলের একাধিক ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেন। দু’দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু গোল হয়নি। ৩৩ মিনিটে কাই হ্যাভার্ৎজের পাস থেকে টিমো ওয়ার্নারের বাঁ পায়ের অসাধারণ শট বাঁচিয়ে দেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। তিনি নিশ্চিত গোল সেভ করেন। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। লেফট উইং থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকতে যান স্টার্লিং। দুর্দান্ত ট্যাকল করে তাঁকে আটকে দেন ম্যাথিয়াস জিন্টার। কিন্তু বলটি যায় কেনের কাছে। তিনি ন্যুয়েরকে কাটিয়ে নেন। তবে ঠিক সময়ে পা বাড়িয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন ম্যাট হুমেলস। এ যাত্রায় গোল না খেলেও, শেষপর্যন্ত অবশ্য হার মানতে হল জার্মানিকে।