আমস্টারডাম: ১৯৯২ সালে ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ডেনমার্ক। কিন্তু তারপর আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। লাউড্রপ ভাইরা অবসর নেওয়ার পর দলে সাড়াজাগানো তারকা ফুটবলারও তেমন কেউ নেই। তবে এবারের ইউরো কাপে আশা জাগাচ্ছে ড্যানিশরা। প্রথম ম্যাচেই ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের অসুস্থতা দলকে প্রবল ধাক্কা দিলেও, সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ডেনমার্ক। গ্যারেথ বেলের ওয়েলশকে সহজেই ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ড্যানিশ ডিনামাইটরা। তারা ফের ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিতে পারবে কি না, সেটা সময়ই বলবে, কিন্তু প্রথম ম্যাচেই ফিনল্যান্ডের কাছে হারের পরেও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটা, সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।


গ্রুপে একটিমাত্র ম্যাচ জিতে গোলপার্থক্যে দ্বিতীয় হয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছয় ডেনমার্ক। কিন্তু ওয়েলশের বিরুদ্ধে তাদের খেলা দেখে সেটা বোঝার উপায় ছিল না। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত আধিপত্য বজায় রেখে ম্যাচ জিতল ডেনমার্ক। জোড়া গোল ক্যাসপার ডলবার্গের। তিনি ২৭ মিনিটে নিজের ও দলের প্রথম গোল করেন। প্রথমার্ধে এই এক গোলেই এগিয়েছিল ড্যানিশরা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ব্যবধান বাড়ান ডলবার্গ। ৪৮ মিনিটে তিনি নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন। এই গোলটাই বেলদের যাবতীয় আশা শেষ করে দেয়। ৮৮ মিনিটে ৩-০ করেন জোয়াকিম মেহল। এরপর সংযোজিত সময়ে ডেনমার্কের হয়ে চতুর্থ গোল করেন মার্টিন ব্রেথওয়েট। এরই মাঝে খেলার শেষদিকে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ওয়েলশের মিডফিল্ডার হ্যারি উইলসন। বেলও শেষদিকে হলুদ কার্ড দেখেন।


শেষ আটের লড়াইয়ে যে দলের বিরুদ্ধেই খেলতে হোক না কেন, এদিনের জয় নিঃসন্দেহে ডেনমার্কের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। সেরা দলগুলি বড় প্রতিযোগিতায় নক-আউটের জন্যই নিজেদের আসল খেলা তুলে রাখে। ডেনমার্কের তো আবার লড়াইয়ের জন্য খ্যাতি রয়েছে। ১৯৯২ সালে ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও, পরে যুগোস্লাভিয়ার পরিবর্তে খেলার সুযোগ পেয়েই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারের দলটাও যে তেমন কিছু করবে, এটা এখনই বলা বাড়াবাড়ি। তবে ড্যানিশরা লড়াই করবে, এটা বলাই যায়। শেষে একটা তথ্য, ১৯৯২ সালের ইউরোর ফাইনালের পর এবারই প্রথম এই প্রতিযোগিতার নক-আউট পর্যায়ে গোল করল ডেনমার্ক।