বাকু: প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও গ্যারেথ বেলের ওয়েলশের সঙ্গে ড্র করল জার্দান শাকিরির সুইৎজারল্যান্ড। খেলার ফল ১-১। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ৪৯ মিনিটে দুরন্ত হেডে সুইৎজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন ব্রিল এম্বোলো। ৭৪ মিনিটে গোল শোধ করে দেন কিয়েফার ম্যুর। ৮৫ মিনিটে গোল করে সুইৎজারল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মারিও গাভরানোভিচ। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল বাতিল হয়ে যায়। ফলে ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। 


এদিন প্রথমার্ধে খেলা তেমন উপভোগ্য হয়নি। বেল বা শাকিরি ব্যক্তিগত ঝলক দেখাতে পারেননি। ফলে কোনও উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ম্যাচের রং বদলে যায়। কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে সুইৎজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন এম্বোলো। কিন্তু এদিন জয়ের ভাগ্য তাঁদের সঙ্গে ছিল না। ৭৪ মিনিটে গোল শোধ করে দেন বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ম্যুর। শেষদিকে গাভরানোভিচের গোলও ভিডিও দেখে বাতিল করে দেন রেফারি। ফলে পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হল দু’দলকে।


গতকাল গ্রুপ এ-র প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে তুরস্ককে ৩-০ উড়িয়ে দিয়েছে ইতালি। রবার্তো মানচিনির দল প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা এবার খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার। গতকালের ম্যাচটিও প্রথমার্ধে গোলশূন্য ছিল। ৫৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন তুরস্কের মেরি দেমিরাল। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সিরো ইম্মোবিল। এরপর ৭৯ মিনিটে ইতালির হয়ে তৃতীয় গোল করেন লরেঞ্জো ইনসিগনে। প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত দাপট বজায় রেখে ম্যাচ জেতে ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্মক ছক থেকে বেরিয়ে এসে আক্রমণাত্মক ফুটবলের ঝলক দেখায় আজুরিরা। 


সুইৎজারল্যান্ড আজ ড্র করে কিছুটা চাপে পড়ে গেল। ১৭ জুন তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ ইতালির বিরুদ্ধে। ইতালি যেরকম ফর্মে আছে, তাতে জয় পেতে গেলে শাকিরিদের নিজেদের দক্ষতাকে ছাপিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে, ওয়েলশের পরের ম্যাচ ১৬ জুন তুরস্কের বিরুদ্ধে। ওয়েলশ যদি তুরস্ককে হারিয়ে দেয় আর সুইৎজারল্যান্ড যদি ইতালির কাছে হেরে যায়, তাহলে সুইসদের নক-আউটে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে।