মিউনিখ: লড়াই করল বেলজিয়াম। কিন্তু নতুন চেহারার ইতালিকে রুখতে পারল না রবার্তো মার্তিনেসের দল। ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর দলকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল দুরন্ত ফর্মে থাকা ইতালি। টানা ৩২ ম্য়াচ অপরাজিত থেকে নজির গড়ল রবার্তো মানচিনির দল। সেই সঙ্গে ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, বড় ম্যাচে চোক করে যায় বেলজিয়াম।


শুক্রবার ভারতীয় সময় মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার পর শুরু ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের ঝড় উঠেছে। মুহূর্মুহূ আক্রমণ উঠেছে দুই দলের বক্স লক্ষ্য করেই। শুরুর ২০ মিনিট অবশ্য বেলজিয়ামের আক্রমণের ঝড়ের সামনে বেশ চাপে ছিল ইতালির রক্ষণ। চোটের জন্য এদিন এডেন অ্যাজার খেলতে না পারলেও বেলজিয়াম দলের ইঞ্জিন বলা হয় যাঁকে, সেই কেভিন দি ব্রুইন খেলেন। ২৬ মিনিটে সেই দি ব্রুইনের শট আটকে দেন ইতালির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। পরের মিনিটেই ফের একবার আক্রমণ দানা বেঁধেছিল দি ব্রুইনের পা ছুঁয়ে। রোমেলু লুকাকুর শট প্রতিহত হয়।


অবশেষে ম্যাচের ৩২ মিনিটে বেলজিয়ামের গোলমুখ খুলতে সক্ষম হয় ইতালি। ততক্ষণে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে বলের দখল নিজেদের দিকে রাখতে শুরু করেছে ইতালি। ৩২ মিনিটে নিকোলো বারেল্লা বেলজিয়ান ডিফেন্ডারদের পায়ের জঙ্গল ভেদ করে ইতালির হয়ে প্রথম গোলটি করেন। মানচিনির দল ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।


যদিও গোল খেয়ে ফের তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে বেলজিয়াম। কিছুটা খেলার গতির বিরুদ্ধেই অবশ্য প্রথমার্ধে ফের একটি গোল পেয়ে যায় ইতালি। ৪৪ মিনিটের মাথায় বেলজিয়াম বক্সের বাইরে থেকে জোরাল ভলিতে ২-০ করেন লোরেঞ্জে ইনসাইনে।


তবে প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন লুকাকু। ৬৬ মিনিটে লুকাকুর শট প্রায় গোলমুখে আটকে দেন স্পিনাজ়োলা। গোল শোধ করার আর কোনও সুযোগ পায়নি বেলজিয়াম।


বেলজিয়ামের এই দলকে সোনার প্রজন্ম বলা হয়। যদিও বড় ম্যাচে ফের একবার কিছু করে দেখাতে পারল না রবার্তো মার্তিনেসের দল। ফের খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল বেলজিয়ামকে।