লন্ডন: ডেনমার্কের স্বপ্নের দৌড় থেমে গেল সেমিফাইনালেই। প্রথম ম্যাচেই দলের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন মাঠেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গ্রুপ পর্বে পরপর দুই ম্যাচে হার। তারপর রাশিয়াকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ডেনমার্ক। দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়ে প্রথমে নেদারল্যান্ডস ও পরে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট আদায় করে নিয়েছিল। যদিও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হল ড্যানিশদের। যদিও ইংল্যান্ডের জয় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে যে গোল থেকে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন, তা নিয়েই রয়েছে জোরদার বিতর্ক।


ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও গৌরবের রাত ছিল বুধবার। কারণ, এক গোলে পিছিয়ে পড়েও ডেনমার্ককে ২-১ হারিয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন হ্যারি কেন-রাহিম স্টার্লিংরা। তবে সেই জৌলুস কিছুটা হলেও ফিকে করে দিল একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ডেনমার্ক-ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল নির্ধারিত ৯০ মিনিট অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। 


আর ১০৪ মিনিটে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন পেনাল্টি থেকে গোল করে ৫৫ বছর পর ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন দলের। ইংল্যান্ড ম্যাচটি জিতে নেয় ২-১ গোলে। তবে এই পেনাল্টি ঘিরেই উঠেছে তীব্র বিতর্ক।


ঠিক কী হয়েছিল? ইংল্যান্ড উইঙ্গার রাহিম স্টার্লিং দুরন্ত গতিতে ডেনমার্ক বক্সে বল নিয়ে ঢুকতে গেলে জোয়াকিম মেইলা তাঁকে ফাউল করেন। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। গোল করে দলের জয় কার্যত নিশ্চিত করে দেন কেন।


তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, মেইলার সঙ্গে স্টার্লিংয়ের তেমন কোনও সংঘর্ষই হয়নি। উল্টে তাঁদের সংঘর্ষের আগেই ইংল্যান্ডের উইঙ্গার নিজের ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলেন। হ্যারি কেনের পেনাল্টি ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্য়াসপার স্মাইকেল প্রথমবার বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন কেন।


ইংল্যান্ডের এই জয়ে গোটা দেশ আনন্দে মাতলেও বিশেষজ্ঞরা রেফারির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। ইংল্যান্ডের সমর্থকেরাও অনেকেই মেনে নিয়েছেন যে, নেহাত বরাত জোরে ইউরো ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তাদের দল।