কলম্বো: ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একটা স্বর্ণজ্জ্বল অধ্যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে ইংল্যান্ডের মাটিতে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই ইতিহাস রচনার আজ ১৯ বছর পূর্তি। ২০০২ সালের ১৩ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল।


সেদিনের স্মতিচারণা করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় রয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সেদিন লর্ডসের ড্রেসিংরুমে ছিলেন রাহুল। ন্যাটওয়েস্ট জয়ের থেকেও সেদিনের উল্লখযোগ্য ঘটনা ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের লর্ডসের বিখ্যাত ব্যালকনিতে জার্সি খুলে ওড়ানো। সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন রাহুল।


এক সাক্ষাৎকারে দ্রাবিড় বলেন, ‘ম্যাচের পর আমি ড্রেসিংরুমের অবস্থা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম দাদা এটা কী করছে ! আমার পেছনে তখন হরভজন ছিল। ও নিজেও তখন সৌরভের দেখাদেখি জার্সি খুলতে যাচ্ছিল। আমি তখন ওর শার্ট বারবার টেনে নামিয়ে দিচ্ছিলাম। যাতে ও এমনটা না করে।’ 


২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে ভারতীয় দল মূলত টপ অর্ডারের ওপরই নির্ভরশীল ছিল। সচিন- সৌরভ- দ্রাবিড় এই তিনজনের ওপরই মূল ভরসা ছিল। কিন্তু সেদিন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ্য কারিগর ছিলেন ২ তরুণ মহম্মদ কাইফ ও যুবরাজ সিংহ। ২ জনেই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। যুবরাজ ৬৯ রানে আউট হয়ে গেলেও কাইফ ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। 


সেদিন প্রথমে ব্যাট করে ৩২৭ রান বোর্ডে তুলে নেয় ইংল্যান্ড। তখনকার দিনে তিনশো প্লাস রান তাড়া করে জেতা বিশাল ব্যাপার ছিল। কিন্তু ভারতী দল সেই কাজটাই করে দেখায়। ওপেনিংয়ে ১০৬ রান বোর্ডে যোগ করেন সৌরভ ও সহবাগ। নজফগড়ের নবাব ৪৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও সৌরভ ৬০ রান করেন। সচিন, দ্রাবিড়  সেদিন বড় রান পাননি। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কাইফ ও যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত জাহির খানকে সঙ্গে নিয়েই জয় ছিনিয়ে আনেন কাইফ। 


ম্যাচে জয়ের পরই লর্ডসের ব্যালকনি থেকে নিজের জার্সি খুলে শূন্যে ছুঁড়তে থাকেন সৌরভ। সেই মুহূর্ত ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনও কালজয়ী হয়ে রয়েছে। যদিও পরবর্তীতে সৌরভকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, সেদিন আবেগের বশে এমনটা করে ফেলেছিলেন তিনি।