করাচি: প্রথম একাদশে ফকর জামানের অন্তর্ভূক্তির পরই যেন পাকিস্তান দলের বরাতটাই খুলে গিয়েছে। পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের অন্যতম কারিগর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
গ্রুপ লিগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দুটি ম্যাচেই জয়ী হয় পাকিস্তান। এরপর ফাইনালটা তো ইতিহাস। ভারতের বিরুদ্ধে ১০৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। লন্ডনের ওভালে মূলত তাঁর ইনিংসটাই ভারতীয় বোলিং আক্রমণের ধার ভোঁতা করে দিয়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে দলে রাখা হয়নি ফকরকে। ওই ম্যাচে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছিল পাকিস্তান।
ফাইনালে ফকরের ইনিংসই ভারতের হাতের বাইরে নিয়ে যায় ম্যাচ। তাঁর ১১৪ রানে ভর করে ৩৩৮ রান তোলে ভারত। অথচ ইনিংসের শুরুতে যখন ৩ রানে ব্যাট করছিলেন তখন একবার জীবন পান ফকর। জসপ্রিত বুমরার বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে বলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতে। কিন্তু আম্পায়ার নো বল ডাকায় আউট হয়েও রক্ষা পান তিনি।  সেই সময় নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন ফকর। তিনি বলেছেন, ‘ধোনির গ্লাভসে বল পড়তে থেকে হৃদস্পন্দন প্রায়  বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।  আমি হতবাক হয়ে যাই। সব স্বপ্ন, আশা ধূলিস্যাত্ হয়ে গিয়েছিল। আস্তে আস্তে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দিই। আমি ভাবছিলাম, ম্যাচের এই সময় কীভাবে আউট হয়ে গেলাম। আমি তো বড় স্কোর করার লক্ষ্যে নেমেছিলাম, ৩ রানে আউট হতে নয়’।
কিন্তু এই সময় আম্পায়ার যখন আমাকে অপেক্ষা করতে বললেন তখন একটু আশার আলো দেখলাম। মনে হচ্ছিল নতুন জীবন পেয়েছি। মনে মনে ভাবছিলাম, বলটা যদি নো হয়, তাহলে দিনটা নিশ্চিতভাবেই আমার।
পরে দেখা গেল, অল্পের জন্য নো বল করেছেন বুমরাহ। আউট হয়েও ফের খেলার সুযোগ দুহাতে লুফে নেন ফকর। আর পিছন ফিরে তাকাননি।