স্বামীর পক্ষে সওয়াল করে তাঁর দাবি, স্পট ফিক্সিংকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না শ্রীসন্থ। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা তাঁর জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। ভুবনেশ্বরীর দাবি, শ্রীসন্থের অগ্রাধিকারের তালিকায় টাকা রয়েছে একেবারে শেষে, ওর চারপাশে যারা আছে, তাদের সবার ভাল চায় ও।
ঘটনাচক্রে দিল্লির এক আদালত ২০১৫-য় স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে শ্রীসন্থকে নির্দোষ বলে রেহাই দিলেও ৩৫ বছর বয়সি ক্রিকেটারের ওপর বিসিসিআইয়ের নিষেধাজ্ঞা বহালই রয়েছে।
শ্রীসন্থ এখন টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বস ১২-য় আছেন। তার সাম্প্রতিক এক এপিসোডে তাঁকে শোয়ের অন্য প্রতিযোগীদের কাছে ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ড নিয়ে বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। শ্রীসন্থ বলেছেন, ম্যাচ গড়াপেটার জন্য তিনি ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা মিথ্যা। তিনি এতে জড়িত নন, নির্দোষ।
কেরল হাইকোর্ট তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে যে রায় দেয়, সুপ্রিম কোর্টে তাকে এর আগেই চ্যালেঞ্জ করেন শ্রীসন্থ। তিনি যাতে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলার অনুমতি পান, সেজন্য আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশও চান তিনি।
২০১৩-য় দিল্লি পুলিশ আইপিএলে ঘুষ নিয়ে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে শ্রীসন্থ ও আরও দুই ক্রিকেটার অজিত চান্ডেলা ও অঙ্কিত চবনকে গ্রেফতার করে, যদিও পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।