নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) মসনদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), জয় শাহদের (Jay Shah) ভবিষ্যৎ কী ? তাঁদের মেয়াদ কি পুনর্নবীকরণ করা হবে ? সেক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধানে সংস্কার আনা জরুরি ৷ আর সেই কারণেই দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ৷ সেই মামলার শুনানি শুরু হল মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে বোর্ডের মামলার শুনানি শুরু হল। বোর্ডের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী তুষার মেটা। যিনি দেশের সলিসিটর জেনারেলও। পাশাপাশি ছিলেন বোর্ডের অ্যামিকাস কিউরি মনিন্দর সিংহ। বিহার ক্রিকেট সংস্থার বক্তব্যও শুনেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কারণ ২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিহার ক্রিকেট সংস্থাই। যার জেরে লোঢা কমিশনের সুপারিশে বোর্ডের সংবিধান আমূল পাল্টে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। তবে ওই দিনই কোনও রায় দেওয়া হবে কি না, তা স্পষ্ট করে জানায়নি ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চেই বিসিসিআই'য়ের সংবিধান সংস্কার আবেদনের শুনানি হবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল৷ কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চের তরফে এ কথা জানানো হয়েছিল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সংক্রান্ত মামলার শেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ৯ অগাস্ট। মামলাটি শুনছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি রবিকুমার এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিচারপতি মিশ্র এবং বিচারপতি খানউইলকর অবসর নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি রমণা দিনকয়েক আগে বলেছিলেন, ‘‘বিচারপতি মিশ্র এবং বিচারপতি খানউইলকর এখন নেই। তাই বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং আরও দুই বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটি পাঠালাম।’’
গত ২১ জুলাই বিসিসিআই সংক্রান্ত বিষয়ে বিচারপতিদের সহযোগিতা করার জন্য আইনজীবী মনিন্দর সিংহকে নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত। বিসিসিআইয়ের সংবিধান সংশোধন, সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহ-সহ অন্য পদাধিকারীদের বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে যাওয়ার মতো নানা বিষয় শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিও এই মামলার পক্ষ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরএম লোধার নেতৃত্বাধীন কমিটি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। আগেই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট।
বোর্ডের সভাপতি এবং সচিব পদে বসার আগে যথাক্রমে সিএবি এবং গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শেনর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহ ৷ তাছাড়া বোর্ডে দু'জনের কার্যক্রমের বেশিরভাগ সময়টাই করোনাকালে অতিবাহিত হয়েছে ৷ পাশাপাশি আগামী বছর দেশের মাটিতে রয়েছে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। তাই কুলিং অফ পিরিয়ড তুলতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিসিসিআই ৷
আরও পড়ুন: হতাশ হলেও ভেঙে পড়ছেন না, ওয়ান ডে বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করছেন জাডেজা