নয়াদিল্লি: প্রথমবার ফিফার কোনও বিশ্বকাপে খেলতে নামছে ভারত। অনূর্দ্ধ ১৭ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে টুর্নামেন্টে খেলবে ভারত। এত বড় একটা মঞ্চে ইতিহাস তৈরির লক্ষ্যে আজ দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে নামবে ভারতের অনূর্দ্ধ ১৭ দল। কিন্তু প্রতিপক্ষ আমেরিকার ধারে ও ভারে অনেকটাই এগিয়ে। তাতে অবশ্য পরোয়া নেই লুইস নর্টন ডি মাতোসের দলের। প্রধান কোচ মাতোস বলেছেন, প্রথম ম্যাচে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবে ভারত। দলের খেলোয়াড়রা ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।
প্রথম ম্যাচে নামার আগে গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মাতোস বলেছেন, আমাদের গ্রুপে কলম্বিয়া, আমেরিকা, ঘানার মতো শক্তিশালী দল রয়েছে। কোচ হিসেবে দলকে ভালোভাবে প্রস্তুত করেছি। দলের খেলোয়াড়রা জানে যে, প্রথম ম্যাচে কোন দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। কিন্তু ফুটবল এমন একটা খেলা যাতে পরতে পরতে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
কোচ বলেছেন, বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে তিনি জানেন। আমেরিকা ভারতের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী দল। ভারত আন্ডারডগ হিসেবেই নামবে। কিন্তু জোর লড়াই করতে প্রস্তুত ভারত। দলের কাছে ইতিহাস রচনার হাতছানি। সেই ইতিহাস গড়াকেই পাখির চোখ করছে ভারত।
প্রথমবার কোন ফিফা টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই আবেগে ফুটছে দলের খেলোয়াড় ও সহযোগী স্টাফরা। এ ব্যাপারে মাতোস বলেছেন, ভারতের কাছে নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় টুর্নামেন্ট। আমরা প্রত্যেক ভারতীয়র মতোই উত্সাহিত।
কোচ বলেছেন, দলের খেলোয়াড়রা দারুন পরিশ্রম করেছে। কারণ, ভবিষ্যতের লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ এটাই।
তিনি মেনে নিচ্ছেন যে, দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু নিজেদের দক্ষতা ছাপিয়ে খেলতে প্রস্তুত ছেলেরা। নিজেদের খেলা সম্পর্কে খেলোয়াড়রা খুবই একাগ্র।
কোচ বলেছেন, ভারতের খেলোয়াড়দের গোল করার সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যপারটি শিখতে হবে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সময়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে ভারত উন্নতি করবে বলে মন্তব্য মাতোসের।
সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতীয় দলের মিডফিল্টার অমরজিত সিংহ। তার কথায়, সবাই এত সমর্থন করছে দেখে দলের সদস্যরা দারুন উত্সাহিত। মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে অমরজিতরা।
ঘরের মাঠে প্রবল সমর্থন থাকবে অমরজিতদের পক্ষে। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভারতীয় ফুটবলের নতুন দিনের সূচনার অপেক্ষায় দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
ভারত : ধীরজ সিংহ, প্রভসুখান গিল, সানি ধালিওয়াল, জিতেন্দ্র সিংহ, আনওয়ার আলি, সঞ্জীব স্ট্যালিন, হেনরি অ্যান্টনে, নমিত দেশপান্ডে, সুরেশ সিংহ, নিনথোইঙ্গানবা মীতেই, অমরজিত সিং কিয়াম, অভিজিত সরকার, কোমল থাটাল, লালেংমাউইয়া, জেকসন সিংহ, নোডাম্বা নাওরেম, রাহুল কানোলি প্রভীন, মহম্মদ শাহজাহান, রহিম আলি, অনিকেত যাদব।