দোহা: আজ আর্জেন্তিনা বনাম ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ফাইনালের (FIFA WC 2022 Final) মহারণ। গোটা বিশ্বের নজর লুসেইল স্টেডিয়ামের দিকে। নজরে দুই দলের দুই তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে ও লিওনেল মেসি। তবে এই দুই দলের দুই তারকাদের আটকানোর দায়িত্বে থাকা দুই দলের দুই শেষ প্রহরী উগো লরিস (Hugo Lloris) ও এমিলিয়ানো মার্তিনিজের (Emiliano Martinez) দিকেও থাকবে বিশেষ নজর। বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত দুই দলের তারকা গোলকিপারের যাত্রপথ ভিন্ন হলেও, তাদের মধ্যে মিলও রয়েছে।


লরিস, মার্তিনেজের যাত্রাপথ


লরিস ও মার্তিনেজের মিলনক্ষেত্র হল লন্ডন, আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে উত্তর লন্ডন। ২০১২ সালে লরিস ও মার্তিনেজ, উভয়েই উত্তর লন্ডনের দুই বিখ্যাত ক্লাব যথাক্রমে টটেনহ্যাম হটস্পার ও আর্সেনালে যোগ দেন। তবে এরপর থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত দুইজনের গতিপথ সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। লরিস স্পার্সের হয়ে বিগত এক দশক ধরে খেলা চালিয়েই যাচ্ছেন। তিনি স্পার্সের অধিনায়কও বটে। তবে আর্সেনালে সুযোগ না পেয়ে একবার এই দল তো একবার ওই দলে খেলতে বাধ্য হন লরিসের থেকে পাঁচ বছরের ছোট মার্তিনেজ।


অবশেষে মার্তিনেজ আর্সেনালের হয়ে বহু বছর পর সুযোগ পেলেও, বাধ্য হয়েই তিনি ক্লাব ছাড়েন। একদিকে লরিস যেখানে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক, অন্যদিকে সেখানে কোপা আমেরিকায় একাধিকবার অতিমানব হয়ে উঠে একের পর এক পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্তিনাকে খেতাব জিতিয়েছেন মার্তিনেজ। বিশ্বকাপের ফাইনাল অবধি তাঁদের যাত্রাপথ যতই ভিন্ন হোক না কেন, আজ ফাইনালের মঞ্চে গোলের সামনে দলকে রক্ষা করার দায়িত্ব এই দুই তারকার কাঁধেই। ফাইনালের আগে কী ভাবছেন দুই তারকা গোলকিপার?


গোলরক্ষকদের মন্তব্য


মার্তিনেজ বলছেন, 'কোপা আমেরিকায় (লিওনেল) মেসি দারুণ খেলেছিলেন। তবে এই বিশ্বকাপে ওঁর খেলা যেন আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। ওঁ আরও ভাল ফুটবল খেলছে। কোপা আমেরিকায় মেসি যেমন খেলেছিলেন, সেটার পুনরাবৃত্তি করাটা কঠিন, তবে ওঁ সেটা করতে পেরেছেন। ওঁ ভাল খেলায় গোটা দলও ভাল ছন্দে, হাসিখুশি রয়েছে। ওঁ হাসিমুখে ফুটবলটা খেলছে এবং দলের জন্য, আমাদের সকলের জন্য এটা খুবই ভাল খবর। ওঁর ভাল খেলাটা দলকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।'


তবে মেসিকে আটকানোর দায়িত্বে থাকা লরিস কিন্তু একা মেসিকে নিয়ে ভাবতে রাজি না। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে একজন খেলোয়াড়ের ওপর সব গুরুত্ব আরোপ করাটা বোকামো। দুই বড় দেশের মধ্যে ফাইনাল আয়োজিত হতে চলেছে। হ্যাঁ, মেসির মতো একজন ফুটবলারের দিকে বাড়তি নজর দিতে হয় বটে। তবে আর্জেন্তিনা কিন্তু দারুণ শক্তিশালী একটি দল, যে দলের তরুণরা মেসিকে নিজেদের সর্বস্বটা উজাড় করতেও রাজি।' 


আরও পড়ুন: বাবার সিদ্ধান্তে হৃদয় ভেঙেছিল মারাদোনার, মেসিদের ম্যাচের দায়িত্বে সেই লাইন্সম্যানের ছেলে