দোহা: লুসেইল স্টেডিয়ামে পেলের পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে ২৪ বছর হওয়ার আগে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ছিল কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe) সামনে। ফাইনালে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে (Argentina vs France) হ্যাটট্রিক করে কার্যত একা হাতেই ফ্রান্সের হয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপে। তবে শেষমেশ পেনাল্টিতে ৪-২ হারতে হয় ফ্রান্সকে। পরাজিত হলেও ফ্রান্স ও এমবাপের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। ফাইনালে হৃদয়ভঙ্গ হওয়ার পর অবশেষে মুখ খুললেন এমবাপে।


এমবাপের শপথ


নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় মাত্র তিন শব্দের একটি পোস্ট করেন এমবাপে। তিনি লেখেন, 'আমরা ফিরে আসব।' মেসির বিশ্বজয়ের দিনেও কিলিয়ান এমবাপে প্রমাণ করে দিলেন কেন তাঁকে বর্তমান বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় রাখা হয়। কার্যত একপেশে এক ফাইনাল ম্যাচ একা হাতেই ফ্রান্সের পক্ষে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বছর ২৩-র এমবাপে। ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্টের ৫৬ বছর পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন এমবাপে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এমবাপের দুরন্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও লুসেইল স্টেডিয়াম থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ফ্রান্সকে।


 






 


দেশঁর দাবি


বিশ্বকাপে পরাজিত হওয়ার পর দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক অসুস্থতারই দোহাই দিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ (Didier Deschamps)। তাঁর দাবি ফাইনালে ফরাসি খেলোয়াড়দের শারীরিক অসুস্থতার প্রভাব তাঁদের মানসিক পরিস্থিতির ওপরও পড়ে।


বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগেই ফ্রান্স দলের একাধিক খেলোয়াড় এক ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিন জন খেলোয়াড় তো সেমিফাইনালে খেলতেই পারেননি। ফাইনালের আগেও আরও দুইজন একই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এই বিষয়েই ইঙ্গিত করে দেশঁ বলেন, 'গোটা দলই বেশ কঠিন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। হয়তো তা খেলোয়াড়দের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রভাব ফেলেছে। তবে সত্যি বলতে যে ১১জন খেলোয়াড় ম্যাচ শুরু করেছিল, তাদের ফিটনেস নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ ছিল না। তারা সকলেই ১০০ শতাংশ ফিট ছিলেন। আমাদের হাতে ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য মাত্র চারদিন সময় ছিল। তাই হয়তো খেলোয়াড়রা সামান্য ক্লান্তও ছিল। আমি অজুহাত দিচ্ছি না। তবে গত ম্যাচগুলির মতো সমান উদ্যমে আমরা এই ম্যাচ খেলতে পারিনি। ম্যাচের প্রথম ঘণ্টায় তো খেলতেই পারিনি।'


আরও পড়ুন: ৩৫-এই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন বেঞ্জেমা