দোহা: জাপানের বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নেমেছিল ক্রোয়েশিয়া। গোটা ম্যাচে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত জাপানকে আটকে দিলেন লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম টাইব্রেকার। আর তাতেই বাজিমাত করল ক্রোয়েশিয়া। সৌজন্যে ডমিনিক লিভাকোভিচ। ম্যাচের পরে যাঁকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস ক্রোয়েট ফুটবলারদের। ক্যাপ্টেন লুকা মদ্রিচও সার্টিফিকেট দিলেন তাঁর দলের গোলরক্ষককে। 


ম্যাচের পর মদ্রিচ বলছেন, ''ভীষণ কঠিন ম্যাচ ছিল। জাপান এর আগে জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে দিয়েছিল। সেটা কোনওভাবেই ফ্লুক ছিল না। এমনকী আমাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের কাছে ফিরে আসার লড়াইটা দরকার ছিল। সঠিক সময় গোলটা পেয়ে গিয়েছিলাম।''


ক্রোয়েট অধিনায়ক আরও বলেন, ''সাইডলাইনের ধার থেকে আমি ম্যাচ দেখছিলাম। আগেও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। আমি কখনওই ভাবিনি যে এটা আমার শেষ ম্যাচ হবে। যখন টাইব্রেকার শুরু হল তখনই আমি দলের সবাইকে বলেছিলাম যে লিভাকোভিচ আটকে দেবে জাপানকে। ঠিক সেটাই হল।''


এক দল গ্রুপ পর্ব পেরবে, অনেকেই ভাবেননি। কারণ গ্রুপে জার্মানি, স্পেনের মতো মহাশক্তিশালী দেশ। অথচ দুই প্রবল পরাক্রমী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল জাপান।


অন্য দল গত বিশ্বকাপের রানার আপ। লুকা মদ্রিচ-ইভান পেরিসিচদের হিসাবের বাইরে রাখতে পারেননি কেউই। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে অবশ্য শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়াকে বেগ দিল জাপান। শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু ইভান পেরিসিচ গোল করে ম্যাচে সমতায় ফেরান ক্রোটদের। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফয়সালা হয়নি। অবশেষে টাইব্রেকারে জাপানকে ১-১ (৩-১) গোলে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেলেন লুকা মদ্রিচরা।


ম্যাচের শুরু থেকেই জাপান বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছতে তারা মরিয়া। ক্রোটদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি কেউ। এত দ্রুত গতিতে নিজেদের বক্স থেকে ক্রোয়েশিয়া বক্সে আক্রমণ হানছিলেন দোয়ান-মোরিতারা যে, রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছিল লুকা মদ্রিচদের। কয়েকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও, লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি জাপান।





ম্যাচের শুরু থেকেই জাপান বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছতে তারা মরিয়া। ক্রোটদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি কেউ। এত দ্রুত গতিতে নিজেদের বক্স থেকে ক্রোয়েশিয়া বক্সে আক্রমণ হানছিলেন দোয়ান-মোরিতারা যে, রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছিল লুকা মদ্রিচদের। কয়েকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও, লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি জাপান।