দোহা: বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) প্রথম দুই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে একটিও জিততে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করলেও, ঘানার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৩-২ হারতে হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়াকে। বিশ্বকাপের পরের পর্বে পৌঁছতে হলে তাই পর্তুগালকে (Portugal vs South Korea) হারানোর পাশাপাশি উরুগুয়ে ম্যাচের ফলাফলের ওপরেই নির্ভরশীল ছিলেন সন হিউং-মিনরা।
শুরুতেই গোল
এদিন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মাঠে নামা নিয়ে সংশয় থাকলেও, শুরু থেকেই খেলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। ম্যাচের শুরুটাও পর্তুগালই বেশি ভাল করে। মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় রিকার্ডো হোর্তার গোলে পর্তুগাল এগিয়ে যায়। পিছিয়ে পড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার চাপ বাড়ে। তবে কিম ইয়ং-গন ২৭ মিনিটে কোরিয়াকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধ ১-১ স্কোরালইনেই শেষ হয়। তবে পরের পর্বে পৌঁছনোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ড্র করা যথেষ্ট ছিল না। অপরদিকে, উরুগুয়ে ঘানার বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপ থেকে সনদের বিদায় নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।
তবে দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়ই তো বড় খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতা চেনান। ঠিক যেমন সন চেনালেন। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে পর্তুগালের কর্নার থেকে এক দুরন্ত প্রতিআক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন সন। তিনি পর্তুগালের কর্নার থেকে বল পায়ে পেয়েই হু হু করে গোলের দিকে দৌড় দেন। তিন পর্তুগিজ খেলোয়াড় কার্যত তাঁকে ঘিরে ফেলার মাঝেই ঠিকানা লেখা পাস বাড়িয়ে দেন হোয়াং হি-চ্যানের (Hwang Hee-chan) উদ্দেশে। দলের হয়ে ৯১তম মিনিটে গোল করেন হোয়াং হি-চ্যান। এই গোলেই ২-১ স্কোরলাইনে জয় পেল দক্ষিণ কোরিয়া।
অপেক্ষার অবসান
এই জয়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার পয়েন্ট সংখ্যা দাঁড়ায় চার। উরুগুয়ের দখলে সমসংখ্যক পয়েন্ট থাকলেও, দক্ষিণ কোরিয়া বেশি গোল করায় তারাই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যায়। তৃতীয় এশিয়ান দল হিসাবে এবারের বিশ্বকাপের নক আউটে পৌঁছল দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতগুলো এশিয়ান আর কখনও একসঙ্গে নক আউটে পৌঁছয়নি। ২০০২ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তারপর দীর্ঘ দুই দশকের অপেক্ষা শেষে আবার নক আউটে পৌঁছলেন তাঁরা।
বিশ্বকাপে এক সময় চোটের কারণে সনের খেলা নিয়েই সংশয় ছিল। তবে দলের প্রয়োজনের সময় গোলের পাস দিয়ে স্পার্স তারকা ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি কত বড় মাপের খেলোয়াড়।