টরন্টো: কানাডা ফুটবলে ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে উত্তর আমেরিকার এই দেশটিকে। ঘরের মাঠে যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে জামাইকার বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জয় পেয়েই বিশ্বকাপের টিকিট পাকা করল কানাডা। একই সঙ্গে ১৯৮৬ সালের পর ফের একবার বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে পাওয়া যাবে কানাডাকে। এদিন ঘরের মাঠে, চেনা সমর্থকদের সামনে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেছিল কানাডার ফুটবলাররা। ঠিক আগের ম্য়াচেই কোস্টারিকার বিরুদ্ধে হেরে যেতে হয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল যে হয়ত এবারও বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া যাবে না। কিন্তু জামাইকার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয়ই সেই কাজটা সহজ করে দিল। বিশ্বকাপ খেলার পথ সুগম করে ফেলল আলফান্সো ডেভিসের দল।


কীভাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে


এদিন খেলার প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে যায় কানাডা। দলের হয়ে গোল দুটো করেন সাইল লারিন এবং বুখানন। দ্বিতীয়ার্ধে জুনিয়ার হইলেট কানাডার হয়ে তৃতীয় গোল করার পর অ্যাড্রিয়ান মারিয়াপ্পা আত্মঘাতী গোল করে কানাডাকে ৪-১ জিততে সাহায্য করে। ১৯৮৬ সালে ম্যাক্সিকো বিশ্বকাপের পর কাতারেই প্রথমবার মাঠে বিশ্বমঞ্চে দেখা যাবে কানাডাকে। বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেয়ায় কানাডা ফুটবল দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, '৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেয়ায় কানাডা পুরুষ ফুটবল দলকে অভিনন্দন।'




এবারের বাছাইপর্বের শুরু থেকেই ফর্মে ছিল কানাডা। বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই শীর্ষে  ছিল তারা। আট দলের গ্রুপে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। কিন্তু এই দুই দলের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে ৪ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছিল তারা। গোটা বাছাইপর্বের ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত অপরাজিত ছিল কানাডা। সপ্তম রাউন্ডে এসে অপ্রত্যাশিতভাবে কোস্টারিকার সঙ্গে হেরে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো তাদের।