দোহা: তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশঁ। কেন তিনি দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনা। দেশঁ জানিয়েছিলেন, নক আউটের জন্য ফুটবলারদের তরতাজা রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।
ফরাসি ফুটবলাররা তরতাজা থাকলে কী করতে পারেন, রবিবার তা দেখিয়ে দিলেন। পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। জোড়া গোল করলেন কিলিয়ান এমবাপে (kylian mbappé)। একটি গোল অলিভিয়ের জিহুর (Olivier Giroud)।
ম্যাচের আগে ফ্রান্সের কোচ দেশঁ জানিয়েছিলেন, পোল্যান্ডকে যথেষ্ট সমীহ করছেন তাঁরা। গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন কিলিয়ান এমবাপেরা। তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কার্যত নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে প্রথম দলের এক ঝাঁক ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন দেশঁ। আর সেই ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গিয়েছিল ফ্রান্স। তিউনিশিয়া ১-০ গোলে ম্যাচ জিতেছিল।
তারপরই যেন নড়েচড়ে বসেছেন ফরাসি কোচ। দেশঁ বলেছিলেন, 'এখনকার দিনে ফুটবল মাঠে কোনও শক্তিশালী দেশও তৈরি না থাকলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।'
পোল্যান্ড শুরুটা করেছিল ভাল। আর্জেন্তিনা ম্যাচের জড়তা কাটিয়ে বেশ কয়েকবার ফরাসি বক্সে হানা দেন রবার্ট লেয়নডস্কিরা। কিন্তু গোল পাননি। এরপরই গোল অলিভিয়ের জিহুর। পিছিয়ে পড়তেই যেন ছন্দ হারায় পোল্যান্ড। বাকি ম্যাচে শুধু এমবাপেদের দাপট। দুরন্ত দুই শটে জোড়া গোল এমবাপের। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেন লেয়নডস্কি।
জিহুর নজির
দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে যখন ফ্রান্সের সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখছেন, তখন নীরবে নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। সেই অলিভিয়ের জিহু (Olivier Giroud) রবিবার ফ্রান্সের হয়ে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করলেন। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে গড়লেন নতুন রেকর্ড।
ফ্রান্সের জার্সিতে ৫২টি গোল হয়ে গেল জিহুর। তিনি ভেঙে দিলেন থিয়েরি অঁরির রেকর্ড। ফ্রান্সের হয়ে ৫১টি গোল ছিল অঁরির। সেই রেকর্ড পেরিয়ে নতুন মাইলফলক তৈরি করলেন জিহু।
১৯৯৮ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন অঁরি। দেশের জার্সিতে ৫১টি গোল ছিল তাঁর। ফ্রান্স ফুটবলে কিংবদন্তি অঁরি। সেই তুলনায় জিহু কখনওই প্রচারের আলো পাননি। এমনকী, করিম বেঞ্জেমা ছিটকে না গেলে প্রথম দলে সুযোগই হতো না জিহুর। ব্যালঁ ডি'অর জয়ী বেঞ্জেমা চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। সেই কারণে সুযোগ পান জিহু। আর সুযোগ পেয়েই ফের গোলের দৌড় চলছে ফরাসি তারকার।
আরও পড়ুন: মেসি অবিশ্বাস্য, বললেন মারাদোনার বিরুদ্ধে খেলা অস্ট্রেলিয়ার কোচ