দোহা: বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে আর্জেন্তিনা (Argentina vs Netherlands)। শুক্রবার লুসেইল স্টেডিয়ামে হবে মেম্ফিস দেপাই বনাম লিওনেল মেসি দ্বৈরথ। তার আগে এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ফুটবল মাঠে দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস:                                                           

  



  • বিশ্বকাপে এটা হবে আর্জেন্তিনা ও নেদারল্যান্ডসের ষষ্ঠবারের সাক্ষাৎ। ব্রাজিল-সুইডেন ও আর্জেন্তিনা-জার্মানি বিশ্বকাপে ৭ বার করে মুখোমুখি হয়েছে। তারপর আর্জেন্তিনা ও নেদারল্যান্ডসই সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হচ্ছে।

  • এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ৯ বারের সাক্ষাতে আর্জেন্তিনার কাছে মাত্র একবারই হেরেছেন ডাচরা। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। চারবার জিতেছে। ড্র হয়েছে চারটি ম্যাচ।

  • ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। টাইব্রেকারে জেতে আর্জেন্তিনা।

  • বিশ্বকাপে দুই দলের শেষ দুই সাক্ষাৎ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গোলশূন্য ছিল। ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে জেতে আর্জেন্তিনা।

  • ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে পরাজয় ছাড়া বিশ্বকাপে  নক আউট পর্বে একমাত্র ইউরোপের দলের কাছেই হেরেছে আর্জেন্তিনা। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্তিনাকে।

  • বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ তিনটি কোয়ার্টার ফাইনালই জিতেছে নেদারল্যান্ডস। ১৯৯৮, ২০১০ ও ২০১৪ সালে। একমাত্র ১৯৯৪ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল তারা।

  • বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ চারটি কোয়ার্টার ফাইনালের মধ্যে তিনবারই পরাজিত হয়েছে আর্জেন্তিনা। যে তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল জিতেছে আর্জেন্তিনা, সেই তিনবারই ফাইনালে পৌঁছেছে। ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে।

  • কোচ হিসাবে বিশ্বকাপের ১১ ম্য়াচে অপরাজিত লুই ফান হাল। আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে জিতলে লুই ফিলিপ স্কোলারির ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করবেন তিনি।

  • নেদারল্যান্ডসের হয়ে শেষ ৩০ ম্যাচে ৩৪টি গোলের ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল মেম্ফিস দেপাইয়ের। ২৪টি গোল তিনি নিজে করেছেন। ১০টি গোলের সহায়তা করেছেন।

  • বিশ্বকাপে ৯টি গোল রয়েছে লিওনেল মেসির। আর একটি গোল করলেই স্বদেশীয় গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড স্পর্শ করবেন। শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোলই বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে মেসির প্রথম গোল।


আরও পড়ুন: মেসি অবিশ্বাস্য, বললেন মারাদোনার বিরুদ্ধে খেলা অস্ট্রেলিয়ার কোচ