কলকাতা: মোহনবাগানের সঙ্গে ATK-এর মেলবন্ধন নিয়ে সমর্থকদের একাংশের ক্ষোভ। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ক্লাবের (Club) কার্যকরী কমিটির বৈঠকে। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে অনেকেই ATK নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। কোথাও কোথাও বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে মোহনবাগানের (Atk Mohun Bagan) নামের আগে ATK নিয়ে আপত্তি রয়েছে বর্তমান কর্মকর্তাদের একাংশের মধ্যেও। এ নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের(Club) সঙ্গে সংস্থার চুক্তি মাঝপথে ভেঙে দেওয়া যায় না, বললেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত (Debashis Dutta)।
ফুটবল প্রশাসনে সৌরভের (Sourav Ganguly) কামব্যাক। বিসিসিআই থেকে অপসারণের পরে এটিকে মোহনবাগানে সৌরভ। মোহনবাগানের ডিরেক্টর হয়ে ফিরছেন মহারাজ। ক্লাবে গিয়ে ঘুরে দেখলেন কথা বললেন কর্তাদের সঙ্গে।
সিএবি নির্বাচনে (CAB) অবশ্য উলটপুরাণ হল। যেখানে দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehasish Ganguly) জায়গা ছেড়ে দিলেন সৌরভ। সিএবি-র আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করছেন না সৌরভ। তিনি যদিও আগে জানিয়েছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, কবে মনোনয়ন জমা করবেন সৌরভ।
রবিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিকেল পাঁচটার মধ্যে মনোনয়ন জমা করতেই হতো। সৌরভ নিজেও সিএবি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চমক অপেক্ষা করেছিল। দেখা যায়, সৌরভ নন, সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা করছেন দাদা স্নেহাশিস। যিনি বর্তমানে সিএবি সচিব ছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা করেন অমলেন্দু বিশ্বাস। সচিব পদে মনোনয়ন দেন নরেশ ওঝা। যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন জমা দেন প্রবীর চক্রবর্তী। যুগ্মসচিব থেকে যাচ্ছেন দেবব্রত দাসই।
কেন তিনি নিজে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা করলেন না? সাংবাদিকদের সৌরভ বলেন, 'আমি বলেছিলাম নির্বাচন হলে লড়ব। কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে আসছে প্রার্থীরা। আমি থাকলে আরও দুজন পোস্ট পাবে না। সে জন্যই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় এসেছিলাম। আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম। তবে মনে হয় না সেটা ঠিক হতো।'
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের বাইরে কার্তিক? কী ইঙ্গিত দিলেন বোর্ড কর্তা?