বুয়েনস আইরেস: ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া (Angel Di Maria)। আর্জেন্তিনা (Argentina) রেকর্ড সংখ্যক কোপা আমেরিকা জেতার পরই অবসর ঘোষণা করেন তিনি। দেশে জমকালো বিদায়ী সংবর্ধনা পেলেন দি মারিয়া। আর পেলেন এমন এক উপহার, যা পেয়ে আবেগ বাঁধ মানল না। হাউ হাউ করে কাঁদলেন দি মারিয়া। কাঁদলেন তাঁর স্ত্রী, সন্তানেরাও।


২০২০ সালের কোপা আমেরিকা (করোনার জন্য যা আয়োজিত হয়েছিল এক বছর পরে), পরের বছর বিশ্বকাপ জেতার নেপথ্যে অন্যতম নায়ক ছিলেন দি মারিয়া। দুটি টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে গোল করেছিলেন তিনি। আর্জেন্তিনার জার্সিতে জিতেছেন অলিম্পিক্স সোনা এবং চলতি বছরের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টও। কোপা আমেরিকার পরই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন দি মারিয়া।


কোপা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শুক্রবার দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ খেলল আর্জেন্তিনা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের সেই ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় নীল-সাদা শিবির। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্তিনা। ম্যাচের দিনই বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হল দি মারিয়াকে। তিনি সপরিবার স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন।


তবে দি মারিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল লিওনেল মেসির বার্তা। চোটের জন্য মাঠের বাইরে মেসি। কোপা ফাইনালের পর থেকে আর মাঠে নামেননি। চিলির বিরুদ্ধেও খেলেননি। তবে ভিডিও বার্তা পাঠান দীর্ঘদিনের সতীর্থ দি মারিয়াকে। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে সেই বার্তা দেখানো হয়।


এস্তাদিও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যায়, মেসি বলছেন, 'তোমার এই বিশেষ রাতে থাকতে পারলাম না বলে দুঃখিত। তুমি জানো আমি সুস্থ হয়ে ওঠার লড়াই চালাচ্ছি। তবে এই ভিডিওর মাধ্যমে তোমার সঙ্গে থাকতে চাই। আশা করছি তোমার পরিবার, প্রিয়জনদের সঙ্গে এবং আর্জেন্তিনার মানুষের সঙ্গে স্মরণীয় রাত কাটালে। তুমি আমাদের যা দিয়েছো তার জন্য এই সম্মান তোমার প্রাপ্য। ব্যক্তিগত স্তরে বলতে পারি, আমাদের একে অপরকে যা বলার ছিল বলেছি। কে ভাবতে পারে জাতীয় দলে আমরা কী সব সময় কাটিয়েছি, যা কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে একসঙ্গে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হিসাবে শেষ করেছি। উপভোগ করো কারণ তোমার এটা প্রাপ্য। তোমার অভাব অনুভব করব।'


 






মেসির বক্তব্য যখন সম্প্রচারিত হচ্ছিল, আবেগ গোপন করতে পারেননি দি মারিয়া। তাঁর স্ত্রী ও মেয়েরাও হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।


আরও পড়ুন: RG কর-এ নির্যাতিতার পরিবারের হাতে নিজের আন্তর্জাতিক পদক তুলে উদাহরণ তৈরি করলেন সুস্মিতা