মায়ামি: কোপা আমেরিকা ফাইনালের (Copa America Final) সেরা আকর্ষণ তিনিই। তাঁর খেলা দেখার জন্যই হা পিত্যেশ করে বসে ছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব।


অথচ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ফািনাল চলাকালীনই কান্নায় ভেঙে পড়লেন সেই লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। মাঠ ছাড়তে হল মুখ দুহাতে ঢেকে।


ইউরো কাপে পেনাল্টি মিস করার পর মাঠেই শিশুর মতো কেঁদেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগিজ মহাতারকাকে মাঠে কাঁদতে দেখে অবাক হয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। সেই সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল, পেশাদারিত্বের মোড়ক কি সব আবেগ ঢেকে দিতে পারে? 


রোনাল্ডোর মতো মেসিও কোপা ফাইনালে হাউ হাউ করে কাঁদলেন। তবে সেটা গোল নষ্ট করার জন্য নয়। চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হওয়ায়।


চলতি কোপা আমেরিকায় চোট নিয়েই খেলছিলেন মেসি। বারবার বলছিলেন, দেশের হয়ে মাঠে কাটানো প্রত্যেক মুহূর্ত উপভোগ করতে চান। তবে কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে পেরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি মেসি। কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।


কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ও পরে সেমিফাইনালেও গোটা ম্যাচে খেলেছিলেন মেসি। ফাইনালেও তিনিই ছিলেন আর্জেন্তিনার সেরা ভরসা। দলের স্তম্ভ। অধিনায়কও।


ম্যাচের প্রথমার্ধেই একবার চোট পান মেসি। বেশ কিছুক্ষণ মাঠে কাতরাতে দেখা যায় তাঁকে। ফিজিও ডেকে মাঠেই শুশ্রূষা নেন।  সাময়িকভাবে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। তারপর সমর্থকদের আশ্বস্ত করে ফের মাঠে নামেন।


তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটি বল নিয়ে দৌড়নোর সময় গোড়ালিতে চোট পান মেসি। তিনি মাঠে পড়ে কাতরাতে থাকেন ফের। যন্ত্রণা কমাতে স্প্রে করা হয়। তবে তাতে লাভ হয়নি। মেসিকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন নিকো গঞ্জালেজ়। ম্যাচের বয়স তখন ৬৫ মিনিট।


মেসিকে দেখা যায় দুহাতে মুখ ঢেকে মাঠ ছাড়ছেন। তারপরই হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। দেশের জার্সিতে তাঁর হয়তো এটাই শেষ কোপা আমেরিকা। সেই ম্যাচে পুরো সময় মাঠে থাকতে না পারার যন্ত্রণা কাবু করে দিয়েছে মেসিকে। তিনি যখন মাঠ ছাড়েন, দলও সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না। ম্যাচ তখনও গোলশূন্য।


আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।