কলকাতা: এ লিগের সর্বকালের সর্বাধিক গোলদাতা এবং পাঁচবারের গোল্ডেন বুট বিজয়ী জেমি ম্যাকলারেন ৪ বছরের চুক্তিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে সই করলেন। ২৯ জুলাই কলকাতায় এসে হোসে মলিনার দলের সাথে প্রশিক্ষণ শুরু করবেন তিনি।


এ লিগে ১৫৪টি গোল আছে ম্যাকলারেনের। মেলবোর্ন সিটি র সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই। গত মরশুমে তাদের হয়ে ২৪টি গোল করেন ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। এই ক্লাবে টানা পাঁচ বছর খেলে ১০৩টি গোল করেছেন তিনি। অর্থাৎ আগামী মরশুমে মোহনবাগানের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার তিন বিশ্বকাপার খেলবেন, ম্যাকলারেন, পেট্রাটস ও কামিংস।


সবুজ-মেরুন বাহিনীতে সই করার পর ম্যাকলারেন ক্লাব মিডিয়াকে বলেন, "আমি অনেক ভারতীয় ফুটবল দেখেছি ইয়ান হিউমের দিনগুলি থেকে। মোহনবাগানকে বেছে নেওয়ার কারণ হল এক, অবিশ্বাস্য ইতিহাস এবং তাদের ট্রফি জয়ের ইচ্ছা আমার সাথে মিলে যায়, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক কিছু জিতেছি। ভারতে সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। ক্লাবের সমর্থকদের সামনে খেলার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না। এর সাথে, ভারতীয় রান্না আমার এবং আমার স্ত্রীর প্রিয়গুলির মধ্যে একটি, তাই আমরা সুস্বাদু খাবার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি!"


ডার্বি নিয়ে তিনি বলেন, "কলকাতা ডার্বি আগে দেখেছি, এবং আমাদের স্টেডিয়ামে ৬০,০০০ জনেরও বেশি দর্শক আসে, যা অবিশ্বাস্য। আমি এখানে আসছি ইতিমধ্যে সফল একটি ক্লাবের অংশ হতে, আমার লক্ষ্য হল ক্লাবকে সহায়তা করা এবং ভারতের সেরা ফুটবল ক্লাব হওয়ার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।''       


এদিকে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি থেকে ট্রান্সফার ফি-র পরিবর্তে জাতীয় দলের মিডফিল্ডার জিকসন সিং থৌনাওজামকে নিয়ে এল ইস্টবেঙ্গল এসসি। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, জিকসনের সঙ্গে চার বছরের চুক্তি হয়েছে ক্লাবের। কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে ৭৮টি ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন জিকসন। দু’টি গোল, দু’টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ৮২% নিখুঁত পাসিং-সহ ২৭৪টি সফল ডুয়েল, ১০২টি ইন্টারসেপশন এবং ৬২টি ক্লিয়ারেন্স রয়েছে তাঁর খতিয়ানে। ইস্ট বেঙ্গল এফসি-র গায়ে মাঠে প্রভাব ফেলতে চান জিকসন। ক্লাব মিডিয়াকে তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক ক্লাবে যোগদান করতে পেরে আমি সম্মানিত এবং রোমাঞ্চিত। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সমর্থন ও উন্মাদনা সত্যিই প্রেরণাদায়ক। আমি ক্লাবের ঐতিহ্যে অবদান রাখতে এবং মাঠে ও মাঠের বাইরে আমার সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।''                                                                   তথ্যসূত্র: আইএসএল মিডিয়া