দোহা: কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) নিজেদের প্রথম ম্য়াচে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল সার্বিয়া (Serbia) ও ক্যামেরুনকে (Cameroon)। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হেরেছে সার্বিয়া। অন্যদিকে স্যুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে ক্যামেরুনকে। আজ কি হবে?


বিশ্বকাপের মঞ্চে স্যামুয়েল এটোর ক্যামেরুন দল শেষবার ২০০২ সালে জয়ের মুখ দেখেছিল। কিন্তু এরপর থেকে বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচই জয় পায়নি ক্যামেরুন। গত বছর টুর্নামেন্টে যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ক্য়ামেরুন। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিতে হয়েছিল ক্যামেরুনকে। এবারও শুরুর ম্যাচেই হার। আজ সার্বিয়ার বিরুদ্ধে কি জয়ের মুখ দেখতে পারবে আফ্রিকার দলটি?


সার্বিয়ার ক্ষেত্রেও এই লড়াই ডু অর ডাই। আটানব্বইয়ের বিশ্বকাপে শেষবার কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। আজকের ম্যাচে হারলে ফের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাবে সার্বিয়া।


জার্মানি-স্পেন ম্য়াচ ড্র


গ্রুপ- ই-র হাই প্রোফাইল ম্যাচের গতি যেদিকে বইছিল, তাতে একসময় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষপর্যন্ত তা হয়নি। হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে কাতারে টিকিয়ে রাখল পরিবর্ত হিসেবে নামা নিকলাস ফুলকার্গের খেলার ৮৩ মিনিটে করা গোল। খেলার ৬২ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা আলভারো মোরাতা স্পেনের গোলদাতা। জার্মানির গোলদাতা ফুলকার্গ ছাড়াও পরিবর্ত হিসেবে নামা লেরয় সানে, অ্যান্টোনিও রুডিগার নজর কেড়েছেন। পাশাপাশি বলতেই হবে আরেকজনের কথা। জামাল মুশিয়ালা। জার্মানির এই তরুণ তুর্কি কার্যত মাঝমাঠে দাপট দেখালেন। মুশিয়ালার সঙ্গে স্পেনের অপর দুই তরুণ তুর্কি পেড্রি ও গাভির মাঝমাঠের লড়াই হয়ে রইল ম্যাচের উপজীব্য।


স্পেন-জার্মানি ডুয়েল যেভাবে এগোল, তাতে যেন ফুটবল মাঠে দাবার এক লড়াই চাক্ষুষ করলেন বিশ্ববাসী। প্রথম পর্বে যে খেলায় জোরাল ছিল লুই এনরিকের দলের দাপট। পরে খেলার দাপট ধরেন জার্মানরা। আপাতত গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। যাদেরকে ৭ গোলে বিধ্বস্ত করে অভিযান শুরু করেছিল স্পেন। ছন্দে ফেরা জার্মানরা কোস্টারিকাকে হারিয়ে নকআউটের অঙ্কে থাকবে বলেই প্রত্যাশা ফুটবল ভক্তদের। তবে তাদের রাউন্ড অফ ১৬-এ যাওয়া হবে কি না, তা নির্ভর করবে স্পেন-জাপান ম্যাচের ওপর। প্রসঙ্গত, জার্মানিকে হারিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল জাপান। কিন্ত তারা হেরেছে কোস্টা রিকার কাছে।