দোহা: কাতারে চলতি বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) দ্রুততম গোলটি করে ফেললেন কানাডার আলফন্সো ডেভিস (Alphonso Davies)। মাত্র ৬৭ সেকেন্ডে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে রবিবারের (২৭ নভেম্বর) ম্যাচে কানাডার হয়ে এই গোলটি করেন ডেভিস। ঘটনাক্রমে, বিশ্বকাপে এটিই কানাডার প্রথম গোল। তবে চলতি বিশ্বকাপের এটি দ্রুততম গোল হলেও, সর্বকালীন দ্রুততম গোলের তালিকায় কিন্তু এই গোলটি প্রথম দশেও নেই।


বিশ্বকাপের দ্রুততম গোল


হাকান সুকুর- ১১ সেকেন্ড, ২০০২ বিশ্বকাপ


ভ্যাকলভ মাসেক- ১৫ সেকেন্ড, ১৯৬২ বিশ্বকাপ


আর্নেস্ট লেহনার- ২৫ সেকেন্ড, ১৯৩৪ বিশ্বকাপ


ব্রায়ান রবসন- ২৮ সেকেন্ড, ১৯৮২ বিশ্বকাপ


ক্লিন্ট ডেম্পসি- ৩০ সেকেন্ড, ২০১৪ বিশ্বকাপ


বানার্ড ল্যাকোম্বে- ৩১ সেকেন্ড, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ


আর্নে নাইবার্গ, এমিল ভেইনান্টে- ৩৫  সেকেন্ড, ১৯৩৮ বিশ্বকাপ


আবদেলবার্ট দেসু, সুং জিন পাক- ৫০ সেকেন্ড, যথাক্রমে ১৯৩০ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপ


সেলসো আয়ালা- ৫২ সেকেন্ড, ১৯৯৮ বিশ্বকাপ


ম্যাথিয়াস জোরগেনসন- ৫৫ সেকেন্ড, ২০১৮ বিশ্বকাপ


কানাডার হার


তবে ডেভিসের গোল সত্ত্বেও শেষমেশ ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় কানাডাকে। শুরুতেই ডেভিসের গোলে পিছিয়ে পড়লেও আন্দ্রে ক্রামারিচের (Andrej Kramaric) জোড়া গোলে জয় পেল গত বারের বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া। দুরন্ত গতিতে ভর করে ক্রোয়েশিয়া পেনাল্টি বক্সে প্রবেশ করেন ডেভিস। তারপর তাজোন বুখাননের ঠিকানা লেখা এক পাস থেকে দুরন্ত হেডারে বল জালে জড়িয়ে দেন ডেভিস। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৬৭ সেকেন্ড। এটিই এবারের বিশ্বকাপের এখনও পর্যন্ত দ্রুততম গোল। ম্যাচের প্রথম দিকটা কানাডার আক্রমণের গতি সামলাতে গিয়ে বিরাট সমস্যায় পড়ে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ। তবে সময় যত গড়ায়, ততই ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডা জাদুগর লুকা মদ্রিচ, ব্রোজোভিচরা ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেন। কানাডা রক্ষণকে চাপে ফেলতে শুরু করেন ক্রোটরা।


ম্যাচের ২৬ মিনিটে ক্রামারিচ ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বল কানাডার জালেও জড়িয়ে দেন। তবে গোলের প্রস্তুতিতে মার্কো লিভায়া অফসাইড থাকায় সেই গোলটি বাতিল হয়। হু হু করে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ এবার কানাডার নাজেহাল হওয়ার পালা ছিল। ক্রামারিচ বারংবার ডেভিসদের চাপে ফেলছিলেন। শেষমেশ ৩৬ মিনিটে ইভান পেরিসিচের পাস থেকে তিনিই ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান। লিভায়ার জন্য প্রথম গোলটি বাতিল হলেও প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটেই তিনিই গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধ ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ২-১ শেষ হয়।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে কানাডার ওসারিওর শট অল্পের জন্য তেকাঠির বাইরে দিয়ে চলে যায়। তবে ততক্ষণে ক্রোয়েশিয়া কার্যত পুরো ম্যাচের দখল নিয়ে নিয়েছে। নিজেদের দুর্দান্ত খেলার লাভও পায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচে দ্বিতীয়বার ৭০ মিনিটের মাথায় ক্রামারিচের দ্বিতীয় গোলের পাস বাড়ান সেই পেরিসিচই। ৩-১ এগিয়ে গিয়েও কানাডা কার্যত ম্য়াচে ফেরার কোনও সুযোগই দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। অনবদ্য দক্ষতার সঙ্গে মদ্রিচরা বলই পা ছাড়া করছিলেন না। শেষের দিকে ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন ফুটবলার মেজাজও হারান, তবে তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি।


ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামা লোভ্রো মায়ের অতিরিক্ত সময়ে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে চতুর্থ তথা ম্য়াচের শেষ গোলটি করেন। ৪-১ জেতে ক্রোটরা। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেল কানাডা।


 


আরও পড়ুন: শুরু পোল্যান্ড ম্যাচের প্রস্তুতি, মেক্সিকোকে হারানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্র্যাক্টিসে হাজির মেসি