রিয়াধ: বয়স চল্লিশের গণ্ডি ছুঁইছুঁই। কিন্তু এই খেলাটাকে সমানভাবেই তিনি ভালবাসেন। হার কোনওদিনই পছন্দ করেন না। পছন্দ করার থেকে বড় কথা কখনও মানতেই চান না যে তিনি হারতে পারেন। বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর টানেলের ভেতর দিয়ে ঢুকে যাওয়ার সময় অঝোরে কাঁদছিলেন। আরও একবার সেই একই ছবি ধরা পড়ল। এবার কিংস কাপের ফাইনালে হারের পর কেঁদে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আল নাসর ফাইনালে খেলতে নেমেছিল আল হিলালের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। কিন্তু সেখান থেকে পেনাল্টিতে ৫-৪ ব্যবধানে হেরে যায় আল নাসের। এরপরই মাঠেই কেঁদে ফেলেন রোনাল্ডো। আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে এই দৃশ্য অবশ্যই ফুটবল প্রেমীদের ও রোনাল্ডো প্রেমীদের আবেগপ্রবণ করবেই। 


 






সৌদি ফুটবলের দুই জায়ান্ট আল নাসের ও আল হিলাল। এদিনের ম্যাচে দুটো গোল হওয়ার সঙ্গে তিনটি লালকার্ডও দেখানো হয়। খেলা শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় আল হিলাল। আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচের গোলে এগিয়ে যায় তারা। এরপর নাসের অনেকবার আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও আল হিলালের ডি বক্সের চক্রব্যূহ ভেদ করতে পারেনি। প্রথমার্ধে আর কোনও দল গোল করেনি। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠে ছাড়েন আল নাসেরের গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা। ১০ জনে বাকি সময়টা খেলতে হয় আল নাসেরকে। অন্যদিকে খেলার ৮৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন আল হিলালের আলি আলবুলাইই। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই ম্য়াচে সমতা ফেরায় আল নাসের। কিন্তু খেলা পেনাল্টিতে গড়ালে সেখানেই ৫-৪ ব্যবধানে হেরে যায় আল নাসের। 


২০২২ সালে আল নাসেরে যোগ দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। সেই থেকে এই ক্লাবের জার্সিতে প্রচুর গোল করেছেন। চলতি মরশুমে লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক ব্যক্তিগত ৩৫ গোল করে রেকর্ড গড়েছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। কিন্তু তাতে কোনও লাভই হল না। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলেন না সি আর সেভেন। আসন্ন ইউরো কাপে পর্তুগাল শিবিরে রয়েছেন রোনাল্ডো। বড় টুর্নামেন্টে নামার আগে ক্লাব ফুটবলে খেতাব জিতলে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়ত এই তারকা স্ট্রাইকারের।