লিসবন: বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। দিনকয়েক আগেই পেশাদার ফুটবলে প্রথম তারকা হিসাবে ৯০০ গোল করে ইতিহাস গড়েছিলেন। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) থামতে নারাজ। ৯০০-র ম্য়াজিক ফিগার স্পর্শ করার পরেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন তাঁর লক্ষ্য ১০০০ গোলের মাইলস্টোন স্পর্শ করা। সেই লক্ষ্য়ে এক পা থুরি, এক গোল এগোলেন 'সিআর৭'। নেশনস লিগে (UEFA Nations League) স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ লগ্নে তাঁর গোলেই জয় পেল পর্তুগাল।
ঘরের মাঠে নেশনস লিগের ম্যাচে স্কটদের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। তবে রোনাল্ডোহীন পর্তুগিজদের আক্রমণবিভাগকে বেশ নিষ্প্রভই দেখাচ্ছিল। এমনকী ম্যাচে পিছিয়েও পড়েন ব্রুনো ফার্নান্ডেজরা। ব্রুনো, রোনাল্ডোদের প্রাক্তন ম্য়াঞ্চেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ স্কট ম্যাকটমেনি ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই স্কটল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। বক্সে এক চতুর রান নিয়ে দুরন্ত গোলে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। পর্তুগিজ রাজধানীতে ম্যাচ দেখতে আসা সকল সমর্থক তখন হতবাক, বিস্মিত। তবে পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল মরিয়া হয়ে গোলের জন্য ঝাঁপায়।
বল দখলের লড়াইয়ে ব্রুনোর অনেকটাই এগিয়ে ছিল। প্রথমার্ধে স্কটিশ গোল লক্ষ্য করে তাঁরা ১৬টি শট নেন। বিগত ১২ বছরে এত গোলমুখী শটের সম্মুখীন হতে হয়নি স্কটিশদের। দাঁতে দাঁত চেপে মরিয়া হয়ে রক্ষণভাগ সামলে কোনওক্রমে লিড বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় স্কটল্যান্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রাফায়েল লিয়াওয়ের পাস থেকে প্রথমবারেই শট নিয়ে স্কটল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দেন ব্রুনো। অবশ্য এই গোলের জন্য স্কটল্যান্ড দলের শেষ প্রহরী অ্যাঙ্গাস গানের দিকেও আঙুল তুলতে পারেন অনেকে।
তবে ম্যাচে সমতায় ফিরলেও কিছুতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গোল আসছিল না। তবে অসম্ভবকে সম্ভব যদি কেউ করতে পারেন, তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে রোনাল্ডো। জয়সূচক গোলের খুঁজে দ্বিতীয়ার্ধে রোনাল্ডোকে মাঠে নামানো হয়। তিনি কিন্তু পর্তুগিজ সমর্থকদের হতাশ করেননি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে নুনো মেন্ডেজ়ের ক্রস থেকে গোল করেন রোনাল্ডো। ২-১ জয় পায় পর্তুগাল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় ফুটবল দল, কী বলছেন মার্কেজ?