কলকাতা: যুবভারতীতে মেসি-দর্শনে (Kolkata Messi Event vandalism) অরাজকতা। উড়ে এল জলের বোতল, ভাঙা চেয়ার। গোটা ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য, রাজনীতি। আগেই গোটা ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এবার তিনি সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজেই পৌঁছে গেলেন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।

Continues below advertisement

শনিবার সন্ধে সাতটার আশেপাশে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছন রাজ্যপাল। তবে মাঠে পৌঁছেও ভিতরে ঢুকতে পারলেন না সিভি আনন্দ বোস।যুবভারতীতে পৌঁছেও বাইরেই অপেক্ষা করতে হল তাঁকে। মাঠের সিংহভাগ গেট ততক্ষণে বন্ধ। মূল গেট বা ভিআইপি গেট দিয়ে তিনি ঢুকতে পারেননি। শেষমেশ রাজ্যপাল তিন নম্বর গেট দিয়ে মাঠে ঢোকেন। সেখানে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন আনন্দ বোস। তবে তিনি আসার পরেই নিভে যায় ভিআইপি লাউঞ্জের আলো, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

মাঠে সামনের তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, 'রাজ্যপালের থেকে সত্যি লুকিয়ে রাখা যাবে না। কেউ যদি মনে করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের থেকে সত্য লুকিয়ে রাখবেন, তাহলে যে কল্পনার জগতে বাস করছেন। আমি ঢুকতে না পারলেও সত্য লুকিয়ে রাখা যাবে না। সত্যটা সামনে আসবেই। আমি আবার আসব। আমি না দেখে, আক্রান্তদের সঙ্গে কথা না বলে কোনওদিন রিপোর্ট তৈরি করি না। সেই উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছিলাম। আমার রিপোর্ট অর্ধেকটা তৈরি। সরেজমিনে সবটা নিজে চাক্ষুষ করেই বাকিটা করব।'

Continues below advertisement

তাঁর আসার পরেও গেট না খোলা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রশাসনকে বিঁধেন রাজ্যপাল। 'আমি আধিকারিকদের থেকে জবাব চাই। আমায় জবাব দিতে হবে। বাংলা কী এভাবেই তাদের রাজ্যপালের সঙ্গে আচরণ করে? রাজ্যপাল হওয়াটা শুধুমাত্র একটা স্টাম্প নয়। রাজ্যপাল কী করতে পারে দ্রুতই দেখতে পারবে। যারা এর জন্য দায়ী, সংবিধান অনুযায়ী তারা শাস্তি পাবেই। রাজ্যপালের থেকে এমনভাবে জিনিসপত্র আড়াল করা মানে এর নেপথ্যে অনেক কিছু রয়েছে। আমি এর গোড়ায় পৌঁছব।' সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি কাল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মাঠে আসবেন বলেও জানান আনন্দ বোস। 

তবে কলকাতার অরাজকতা পিছনে ফেলে  লিওনেল মেসির GOAT Tour of India - এর দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ পৌঁছে গিয়েছেন ফুটবল তারকা। জানা যাচ্ছে, তাজ ফলকনুমা প্যালেসে পৌঁছেছেন মেসি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইন্টার মায়ামি দলের দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি পল।