প্যারিস: ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের (2026 World Cup Football) পরই ফ্রান্সের কোচের পদ থেকে সরছেন দিদিয়ের দেঁশ (Didier Deschamps France Coach)। দীর্ঘ ১৪ বছর দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দেঁশ। ফ্রান্স ফুটবল দলের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে দেঁশর সরে দাঁড়ানোর খবর জানিয়েছে।


২০১২ সালে ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচ হিসেবে পথ চলা শুরু হয় দেঁশর। তাঁর অধীনেই ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। এমনকী ২০২১ ইউয়েফা নেশন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় ফরাসি শিবির। তাঁর কোচিংয়ে খেলেই পায়েত, পোগবারা ২০১৬ ইউরো কাপের ফাইনালে উঠেছিল। ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করেছিল ফ্রান্স। কিন্তু ইউরোতে পর্তুগালের বিরুদ্ধে ও ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে হারতে হয় গ্রিজম্য়ানদের।


দেঁশ সরে গেলে কে সামলাবেন ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব? আপাতত যে নামটি বেশি করে ভেসে আসছে, তিনি হলেন জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ সালের বিশ্বজয়ী ফ্রান্স ফুটবল দলের নক্ষত্র ছিলেন এই কিংবদন্তি। এছাড়া প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ক্লাব ফুটবলে রিয়ালের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর কোচিংয়ে রিয়াল তিনটি ইউয়েফা লিগ চ্যাম্পিয়ন ও দুবার লি লিগা জেতে।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল ফ্রান্সের বিশ্বজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশঁর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন এমবাপে। দেশঁ কোচ থাকাকালীন এমবাপে নাকি আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতেই চান না। খবর অনুযায়ী এমবাপের মা তথা তাঁর এজেন্ট ফায়জ়া লামারিসহ এমবাপের গোটা শিবিরই ফরাসি ফুটবল কোচের নির্বাসন চায়। তবে শুধু তাঁরা নন, দাবি করা হচ্ছে আরও অনেক ফরাসি ফুটবলারই কোচ বদলের পক্ষে। ১২ বছর ধরে দেশঁর হাতে ফরাসি জাতীয় দলের রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে। কোচের দায়িত্বে থাকাকালীন ইতিমধ্যেই একবার বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি ইউরো এবং বিশ্বকাপের ফাইনালেও একবার করে পৌঁছে পরাজিত হয়েছে ফ্রান্স। তবে আর নয়।


প্রসঙ্গত, এমবাপে ফ্রান্সের আগের পর্বের নেশনস লিগের ম্যাচেও দলে ছিলেন না এমবাপে। তবে সেক্ষেত্রে ফরাসি অধিনায়ক উরুর চোটে ভুগছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁর চোটের সমস্যা নেই। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দিব্যি খেলছেন এমবাপে। শোনা যাচ্ছে এমবাপে নিজেই ফরাসি দলের হয়ে নির্বাচিত হতে চাননি। বদলে তিনি ফ্রান্সেই থাকতে চান।  ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁও জানিয়ে দিয়েছেন যে সম্প্রতি সুইডেনে কিলিয়ান এমবাপের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার সঙ্গে এমবাপের দল থেকে বাদ পজ়ার কোনও সংযোগ নেই।