কলকাতা: উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিন কয়েক আগেই তিনি কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) অনুশীলনেও নেমে পড়লেন আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। লাল-হলুদ জার্সিতে প্র্যাক্টিসে ফুরফুরে মেজাজেই দেখিয়েছে আনোয়ারকে। রবিবার সল্ট লেকের যুবরভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে আনোয়ারকে পাবে ইস্টবেঙ্গল? সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।


শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে নেমে পড়লেন আনোয়ার আলি। সতীর্থদের সঙ্গে পুরোদমে ট্রেনিং করেন আনোয়ার। লাল-হলুদ জনতা হা পিত্যেশ করে অপেক্ষা করছে একটি প্রশ্নের উত্তর পেতে। আর সেটা হল, রবিবারের ডুরান্ড কাপের বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ আগলাতে কি দেখা যাবে আনোয়ারকে? চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে কি রক্ষণের স্তম্ভকে পাবে ইস্টবেঙ্গল?


আলতাইন আসিরের বিরুদ্ধে এএফসি কাপে লাল-হলুদের রক্ষণের দুর্বলতা চোখে পড়েছে সকলেরই। গোল করার ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা দক্ষতা দেখালেও, রক্ষণে কিন্তু ফাঁকফোকর দেখা গিয়েছে। জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আনোয়ার নামলে এই দুর্বলতা এড়ানো সম্ভব বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, লাল-হলুদ শিবিরের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত কি তাঁকে শেষমেশ ডার্বিতে খেলাবেন? দলের সঙ্গে মাত্র দুটো সেশন অনুশীলন করিয়েই তাঁকে ডার্বির মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কুয়াদ্রাত নামাবেন কি না, তা নিয় প্রশ্ন রয়েছে। তার উপর ম্যাচটা যখন আনোয়ারের সদ্য-প্রাক্তন ক্লাব মোহনবাগানের বিরুদ্ধে, তখন এই প্রশ্নটা আরও বেশি জোরাল হয়ে পড়ছে। আনোয়ারকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের দড়ি টানাটানি অন্য পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ময়দানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িতরা বলেছিলেন, বহুদিন পরে কোনও ফুটবলারের দলবদল নিয়ে এত নাটক হল।                      


 






মরশুমের প্রথম তিন ম্যাচে আট গোল করা ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। ডেভিড লালহানসাঙ্গা, সল ক্রেসপো, দিমিত্রি দিয়ামান্তাকস, মাদিহ তালাল - সকলেই গোলের মধ্যে রয়েছেন।                         


আরও পড়ুন: মেন উইল বি মেন, তাই না? আর জি কর কাণ্ডে গর্জে উঠলেন মহম্মদ সিরাজ়