কলকাতা: শুক্রবার পিভি বিষ্ণু ও হিজাজি মাহেরের গোলে জয় নিশ্চিত করে। যদিও ৮৪তম মিনিটে দানিশ ফারুক কেরল ব্লাস্টার্স এফসির হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন, ইস্ট বেঙ্গল দৃঢ়ভাবে রক্ষণ সামলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ জয় নিশ্চিত করে।


ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল এফসির কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon) তাঁর দল নিয়ে সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ ও এই জয়ের গুরুত্ব নিয়ে বলেন, "শেষ কয়েক সপ্তাহে আমরা অনেক ভুগেছি। আমরা আইএসএলের কিছু সেরা ক্লাব যেমন এফসি গোয়া, মোহনবাগান এসজি এবং মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে ভাল লড়াই করেছি। কিন্তু পয়েন্ট টেবলের ক্ষেত্রে আমরা খালি হাতে ফিরেছি। তাই আজকের ম্যাচটি ছিল প্রতিরোধের একটি পরীক্ষা। ছেলেদের লড়াকু মানসিকতা প্রশংসনীয় ছিল। তবে দল মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।"


তিনি আরও যোগ করেন, "হয়তো প্রথম ১০ মিনিটে আমরা একটু নড়বড়ে ছিলাম এবং শেষ ১৫ মিনিটে কেরল ব্লাস্টার্স তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে, আমি মনে করি ছেলেরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে এবং হ্যাঁ, এই ম্যাচ জিতে আমরা সত্যিই স্বস্তি পেয়েছি।"


ম্যাচের নায়ক পিভি বিষ্ণুর পারফরম্যান্স নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন, "গত সপ্তাহে আমি জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে। তবে বিষ্ণু নিশ্চিতভাবেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার দাবিদার। ও শুধু আমাদের ক্লাবের নয়, পুরো আইএসএলে অন্যতম সেরা ফুটবলার। আমরা ওর পাশে থাকব।"


মাঝমাঠের আধিপত্যকেই এই জয়ের মূল চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করে ব্রুজো নাওরেম মহেশ সিংহের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "এই ম্যাচের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ। খেলার বেশিরভাগ সময় আমরা এই জায়গায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এই নিয়ন্ত্রণই আমাদের বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করেছে। মহেশের দক্ষতা মাঝমাঠের পকেটে বা মধ্যবর্তী অঞ্চলে আরও ভালভাবে কাজে লাগানো যায়। আজ ও আজ সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছে।"


আরও পড়ুন: হুইলচেয়ারে চেপে মাঠে, সৌরভ ভক্ত বিক্রমের স্বপ্ন লর্ডসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার


আসন্ন চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে চোট ও রক্ষণভাগের সমস্যাগুলি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন,"মরশুমের বেশিরভাগ সময়ই সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যায়নি। আশা করি, দীর্ঘ মরশুমে আমাদের সবকিছু ভারসাম্যপূর্ণ হবে। চোট, রক্ষণভাগের সমস্যা এবং খেলার সিদ্ধান্তের প্রভাব আজকের ম্যাচে ছিল না। আমরা এই তিনটি সমস্যাকে অতিক্রম করতে পেরেছি।"


৩১ জানুয়ারি মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সতর্ক ব্রুজন বলেন, "প্রভাত লাকরা, মহম্মদ রকিপ, সাউল ক্রেসপো এবং আনোয়ার আলির মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। ওরা পরের ম্যাচে থাকতে পারবে কিনা, জানি না। তবে আমি বারবার বলি, আমাদের দল পয়েন্ট টেবলের এত নীচে থাকার যোগ্য নয়। এখনও ৭-৮টি ম্যাচ বাকি আছে। আমরা প্রমাণ করতে পারি যে, ইস্টবেঙ্গল এফসি এ বছর টেবলের তলানিতে নয়, বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকতে পারে।" এই ম্যাচে জিতলেও অবশ্য লিগ টেবলে উন্নতি হয়নি তাদের। ১১ নম্বরেই রয়ে গেল। (সৌ: আইএসএল মিডিয়া)


আরও পড়ুন: বিয়ের ২১ বছর পর ঘর ভাঙছে বীরেন্দ্র সহবাগের! স্ত্রী আরতির সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে জোর জল্পনা