FC Goa vs East Bengal: হারের হ্যাটট্রিকের জেরে প্রথম ছয়ে থাকার আশা কার্যত ছেড়েই দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোন

ABP Ananda Updated at: 20 Jan 2025 12:51 AM (IST)
Edited By: Rishav Roy

East Bengal: চলতি লিগের দশ নম্বর হারের ফলে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল পয়েন্ট টেবলের ১১ নম্বরেই রয়ে গেল।

FC Goa vs East Bengal: হারের হ্যাটট্রিকের জেরে প্রথম ছয়ে থাকার আশা কার্যত ছেড়েই দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোন

ফের হতাশাজনক পারফরম্যান্স ব্রুজোনের দলের (ছবি: আইএসএল)

NEXT PREV

গোয়া: এফসি গোয়ার কাছে রবিবার হারার পর সেরা ছয়ে ওঠার আশা কর্যত ছেড়েই দিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজোন। তবে তাঁর দলের চোট পাওয়া খেলোয়াড়রা সুস্থ হয়ে উঠলে তারা যথাসম্ভব ভাল খেলে লিগ শেষ করার আশা করছেন তিনি।











এফসি গোয়ার তরুণ ফরোয়ার্ড ব্রাইসন ফার্নান্ডেজের প্রথমার্ধের গোলে এ দিন হারে ইস্টবেঙ্গল এফসি। চলতি লিগের দশ নম্বর হারের ফলে তারা পয়েন্ট টেবলের ১১ নম্বরেই রয়ে গেল। আরও আটটি ম্যাচ খেলতে হবে তাদের। তবে তাঁর দলের খেলোয়াড়দের চোট-আঘাতের যা অবস্থা, তাতে তাদের সেরা ছয়ে পৌঁছনোর বাস্তব সম্ভাবনা কঠিন বলেই মনে করছেন স্প্যানিশ কোচ।


রবিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৌঠকে এই প্রসঙ্গে উঠলে অস্কার বলেন, “(সেরা ছয়ে ওঠা) কঠিন। গতকালই বলেছি, টানা তিনটে ম্যাচ না জিততে পারলে তা সম্ভব নয়। তাই এটা এখন খুবই উচ্চাকাঙ্খা বলা যায়। এ ভাবে খেলে যেতে পারলে অবশ্য ব্যাপারটা কঠিন হবে না। তবে আমাদের আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে হবে। একটা সেটপিসে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কম উচ্চতার খেলোয়াড়টি আমাদের গোলকিপার ও সেন্টারব্যাকের মাঝখান দিয়ে গোল করে দিল, এটা ঠিক না। সারা ম্যাচে ২৮টা ক্রস দিয়েছি আমরা, তাও গোল পাইনি। এটাও কম হতাশাজনক নয়। পরিসংখ্যান দেখুন, প্রায় ১৫টা সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। তা সত্ত্বেও আমাদের স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেনি। কারণ, ওদের সেন্টার ব্যাকরা ওদের বক্সে কার্যকরী হয়ে ওঠে”।


এ দিনের ম্যাচের বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, “এফসি গোয়া আমাদের চেয়ে কার্যকরী ফুটবল খেলেছে, সে জন্য ওদের অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যজনক বলব না। গত দু’সপ্তাহেও এমন হয়েছে। কিছু কিছু সময়ে আমরাই খেলার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভাবে করেছি। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচে ফয়সালা হয় বক্সের মধ্যে। সেটাই হয়েছে”।


এ দিন ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে শর্ট কর্নারের পর বক্সের মধ্যে হাওয়ায় ভাসানো ক্রস পাঠান বোরহা হেরেরা, যিনি চোট সারিয়ে এই ম্যাচে নামেন। তাঁর এই ক্রসেই দুর্দান্ত হেড ফ্লিক করে বল জালে জড়িয়ে দেন ব্রাইসন, এ মরশুমে যাঁর গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়। যখন লাফিয়ে উঠে হেড করেন ব্রাইসন, তখন তিনি সম্পুর্ণ অরক্ষিত ছিলেন।


চোট ও কার্ড সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল এফসি চার ব্যাকে খেললেও চারজন বিশেষজ্ঞ ডিফেন্ডারকে নামাতে পারেনি তারা। নন্দকুমার শেকরকে সাইড ব্যাকের ভূমিকায় খেলতে দেখা যায়। লালচুঙনুঙ্গাকে সেন্টার ব্যাকের ভূমিকা পালন করতে হয় হিজাজি মাহেরের সঙ্গে, যা সম্ভবত এক বছর আগে শেষ দেখা গিয়েছিল। নাওরেম মহেশকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের জায়গায় দেখা যায়।


দলের এই অবস্থা নিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা এমন অবস্থায় রয়েছি, যেখানে আমাদের ড্র করলেও চলবে না, পুরো পয়েন্ট পেতে হবে। তাই পরের ম্যাচগুলোতেও আমাদের সেই চেষ্টাই চালিয়ে যেতে হবে। যখন চোট সারিয়ে সবাই ফিরে আসবে, তখন নিশ্চয়ই আমরা আরও ভাল খেলব। আজ কী রকম দল নামিয়েছিলাম, সে তো নিজেরাই দেখেছেন। সাতজন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়কে নামাতে হয়েছে। তাও প্রথমার্ধে এফসি গোয়াকে আমরা ভালই আটকে রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু প্রথম গোলটা হয়ে যাওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তার পরেও ৬০-৬৫ মিনিট ধরে গোলের চেষ্টা করেও গোল পাইনি”।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্ম মেজাজে পাওয়া যায় কলকাতার দলকে। পঞ্চম মিনিটেই অসাধারণ এক গোলের সুযোগ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ-ত্রয়ী। তার পরেও অনেক সুযোগ তৈরি করেন। ভেনেজুয়েলা থেকে আসা নতুন বিদেশী স্ট্রাইকার রিচার্ড সেলিসও এ দিন আশা জাগানোর মতোই ফুটবল খেলেছেন।


দ্বিতীয়ার্ধে দলের উন্নত পারফরম্যান্স নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “বিরতিতে ছেলেদের বলি, যে রকম খেলছ, সে রকমই খেলো। কিন্তু মাঝমাঠে আরও নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করো। দ্বিতীয়ার্ধে মহেশ সামনে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশ ভালই যোগাযোগ রাখছিল। আমরা ওদের সেন্টার ব্যাকদের সহজেই বল মুভ করাতে দিইনি। দুই সেন্টার ব্যাকের মধ্যে সংযোগটা বন্ধ করে দেওয়ায় ওরা উঠে খেলতে বাধ্য হয় এবং আমরা আরও গোলের সুযোগ তৈরি করতে সফল হই। এই আইডিয়াটা কাজে লেগেছে”।


এই অবস্থার মধ্যেও অবশ্য ইতিবাচক খোঁজার চেষ্টা করছেন অস্কার ব্রুজোন। বলেন, “আজ নন্দ রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেছে, মহেশ সেন্টার মিডফিল্ডার। কিন্তু কিছু বলার নেই। কারণ ওরা ভাল খেলেছে। চোট-আঘাতের কারণে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে ঠিকই। তবে আজকের ম্যাচে কিছু ইতিবাচক দিক আছে। কয়েকজন খেলোয়াড় প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে। আমি নিশ্চিত, মরশুমের শেষ দিকে, যদি আমরা পুরো দল পাই। তা হলে মরশুমটা ভাল ভাবেই শেষ করতে পারব। মার্চে আমাদের এএফসি ম্যাচও আছে। সেই কথাও মাথায় রাখতে হবে আমাদের”।
























(তথ্য: আইএসএল মিডিয়া)


আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত লড়াই, তা সত্ত্বেও হারের হ্যাটট্রিক এড়াতে পারল না ইস্টবেঙ্গল 

Published at: 20 Jan 2025 12:51 AM (IST)

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

© Copyright@2025.ABP Network Private Limited. All rights reserved.