কলকাতা: শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল এফসি-র (East Bengal FC) মুখোমুখি হবে কেরল ব্লাস্টার্স। কেরল ব্লাস্টার্স এফসি বর্তমানে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে রয়েছে (১৭ ম্যাচে), যেখানে ইস্টবেঙ্গল এফসি ১৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এগারো নম্বরে রয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল টানা তিনটি ম্যাচে হারার পর এই ম্যাচে নামছে। এক মরসুমে টানা ছয় ম্যাচ হারার রেকর্ড রয়েছে তাদের, যা চলতি মরশুমেই হয়েছে। শুক্রবার হারলে তাদের আইএসএল ইতিহাসে একাধিকবার টানা চার বা তার বেশি ম্যাচ হারবে তারা। যুক্ত হবে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসির সঙ্গে।
অন্যদিকে, কেরল ব্লাস্টার্স এফসি তাদের চার ম্যাচে হারের করা কাটিয়ে গত ৫ জানুয়ারি পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে। দলটি ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে প্রথমবারের মতো টানা দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য রাখছে।
অন্তর্বর্তী প্রধান কোচ টি.জি. পুরুষোথমানের অধীনে কেরল ব্লাস্টার্স এফসি উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তাদের প্রতি ম্যাচে গোল খাওয়ার গড় ২.০ থেকে কমে ০.৬ হয়েছে। গত পাঁচ ম্যাচে, তাদের প্রতিপক্ষ কোনও ম্যাচেই ১-এর বেশি এক্সপেকটেড গোল (xG) করতে পারেনি। এছাড়া, তারা পাঁচটি বড় সুযোগের মধ্যে চারটি কাজে লাগিয়ে গোল করেছে, যা মিখাইল স্তাহরের অধীনে ৫২.৪% থেকে বেড়ে ৮০%-এ পৌঁছেছে।
তারা শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতেছে এবং একটিতে ড্র করেছে। ১৭ ম্যাচে দলটি ২৬টি গোল করেছে। দলের মূল তারকা জেসাস জিমেনেজ এবং নোয়া সাদাউই, যারা যথাক্রমে ১০ এবং ৭টি গোল করেছেন। অপরদিকে, ইস্টবেঙ্গল এফসি লিগে তৃতীয় সর্বনিম্ন গোল করেছে (১৬), যেখানে ডেভিড লালনসাঙ্গা, দিমিত্রি দিয়ামান্তাকস, এবং পিভি বিষ্ণু প্রত্যেকে তিনটি করে গোল করেছেন।
দুই দলই এখন পর্যন্ত চারটি করে ক্লিন শিট বজায় রেখেছে। কেরল ব্লাস্টার্স এফসি বর্তমানে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ওড়িশা এফসির (২৪) থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে। এই ম্যাচে জয় নিয়ে তারা শীর্ষ ছয়ে থাকার আশা বজায় রাখতে চায়, যেখানে ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের বাকি মরশুমের জন্য লড়াই পুনরুদ্ধার করতে চায়। তারা তাদের শেষ দুটি ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের আইএসএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলহীন ধারা ২০২০ সালে চারটি ম্যাচ পর্যন্ত ছিল। তারা এ মরশুমে কোনও ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে গোল করতে পারেনি। (সৌ: আইএসএল মিডিয়া)
আরও পড়ুন: বিশ্বের আর কোনও মাঠে ভারতের এই রেকর্ড নেই, শুনলে গর্ব করবেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা