গুয়াহাটি: শনিবার অসমের গুয়াহাটিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল ডার্বি ম্যাচের রেফারিং নিয়ে তুমুল বিতর্ক । ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তীকে জোড়া হলুদ কার্ড দেখিয়ে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার দেওয়া হয় । পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলকে একটি নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয় । 


মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হারের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বোমা ফাটালেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো । জানালেন, ম্যাচের পরে ম্যাচ একই ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা । তাঁর মতে, শৌভিককে প্রথম যে হলুদ কার্ডটা দেখানো হয়েছে, সেটা কোনওভাবেই কার্ড দেখানোর মতো অপরাধ নয় ।    


লাল-হলুদ শিবিরের হেডস্যর আরও জানান, দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা নিয়ে তাঁদের কিছু বলার নেই । মোহনবাগানের প্রতি-আক্রমণ রুখতে শৌভিককে সেই ফাউলটা করতেই হতো । না হলে ম্যাচের ফল ওখানেই ০-২ হয়ে যেতে পারত । সেক্ষেত্রে ম্যাচে লড়াই থেকে তখনই ছিটকে যেত ইস্টবেঙ্গল । কিন্তু প্রথম হলুদ কার্ডটা মেনে নিতে পারছেন না ব্রুজো । মোহনবাগানের শুভাশিস বসু, মনবীর সিংহ, আশিস রাইরা একইরকম অপরাদ করলেও তাঁদের কার্ড দেখানো হয়নি বলে মন্তব্য ইস্টবেঙ্গল কোচের । 


 






ব্রুজো আরও জানান, নিশ্চিত পেনাল্টি পাননি তাঁরা । আপুইয়ার হাতে বল লেগেছিল । ম্যাচের একদম শেষে প্রতি আক্রমণে আশিস রাইকে নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো উচিত ছিল রেফারির, মন্তব্য ব্রুজোর । মোহনবাগানেরও ১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিল বলে দাবি করেন লাল-হলুদের প্রধান কোচ । যিনি ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরও লড়াইয়ের জন্য দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছেন ।        


তবে দলের রক্ষণভাগ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন ব্রুজো । ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, প্রথম ছয়ে থাকা সম্ভব কি না । 'নেক্সট কোয়েশ্চেন' বলে এড়িয়ে যান ইস্টবেঙ্গলের কোচ ।         


আরও পড়ুন: নেই পন্থ, যশস্বী, শুভমন, আর কাদের ছাড়া ঘোষণা করা হল ভারতের টি-২০ দল?