কলকাতা: আইএসএলে বৃহস্পতিবার সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও ওড়িশা এফ সি (Odisha FC)। আইএসএলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। গত দুটি ম্যাচেই জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠেও যদি তারা জেতে, তা হলে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জিতবে তারা, যা আইএসএলে কখনও করতে পারেনি তারা।
ঘরের মাঠে গত দুই ম্যাচেই নিজেদের গোল অক্ষত রাখতে পেরেছে তারা। গত মরশুমে ২০২৩-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিনটি হোম ম্যাচে ক্লিন শিট বজায় রেখেছিল তারা। সেটাই এখন পর্যন্ত সেরা। ইস্টবেঙ্গল চলতি লিগের কোনও ম্যাচে প্রথম ১৫ মিনিটে গোল করতে পারেনি। এই তালিকায় আর শুধু জামশেদপুর এফসি রয়েছে। লিগের বাকি সব দলেরই প্রথম কোয়ার্টারে গোল রয়েছে।
টানা ছয় ম্যাচের প্রতিটিতে গোল খাওয়ার পর শেষ হোম ম্যাচে (২৫ নভেম্বর) ক্লিন শিট বজায় রেখে ৬-০-য় হায়দরাবাদ এফসি-কে হারায় তারা। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি গোল করেছে ওড়িশা এফসি। এ মরশুমে প্রথম কোয়ার্টারে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড (৮)। তারপরই ওড়িশা। ১১ ম্যাচে ২৩ গোল করেছে কলিঙ্গ বাহিনি, যা তাদের আইএসএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গড়ে প্রতি ৪৩ মিনিট অন্তর একটি করে গোল করেছে তারা, যা চলতি লিগে সেরা।
তাদের গোলকিপার অমরিন্দর সিংহ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে আটটি সেভ করেন, যা এ মরশুমে একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ। এই কৃতিত্ব বেঙ্গালুরুর গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু ও মহমেডানের পদম ছেত্রীরও আছে। চলতি লিগে ৪০টি সেভ করেছেন অমরিন্দর। আইএসএলে এই নিয়ে অষ্টম আইএসএল মরশুমে ৪০ বা তার বেশি সেভ করলেন অমরিন্দর, যা আর কোনও গোলকিপারের নেই। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আটটি গোলে অবদান রয়েছে দিয়েগো মরিসিওর। চারটি গোল করেছেন ও চারটি করিয়েছেন। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও আটটি গোলে অবদান রয়েছে তাঁর। আইএসএলে আর কোনও ক্লাবের বিরুদ্ধে এত গোল অবদান নেই তাঁর।
নাওরেম মহেশ সিংহ ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে দশ নম্বর অ্যাসিস্ট থেকে আর একধাপ দূরে। আর একটি অ্যাসিস্ট দিলে একটি ক্লাবের জার্সি গায়ে দশ বা তার বেশি অ্যাসিস্ট করা ভারতীয় ফুটবলারদের তালিকায় ১২ নম্বরে জায়গা পাবেন তিনি।
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল এফসি ও ওড়িশা এফসি-র মধ্যে যে ন’বার দেখা হয়েছে, সেই ন’বারের মুখোমুখিতে মোট ৪৪টি গোল হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ১৮ ও ওড়িশা ২৬ গোল করেছে। ওড়িশা জিতেছে সাতবার, ইস্টবেঙ্গল একবার, আর গত মরশুমের প্রথম মুখোমুখিতে একমাত্র ড্র (গোলশূন্য) হয়। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথম মুখোমুখিতে ৩-১ জয় ছাড়া আর কোনও বার সাফল্য পায়নি লাল-হলুদ বাহিনি। সে বার দ্বিতীয় লেগে ওড়িশা এফসি ৬-৫-এ জেতে।
২০২১-২২ মরশুমের প্রথম ম্যাচেই ওড়িশা জেতে ৬-৪-এ। ফিরতি লিগে ওড়িশা ফের জেতে ২-১-এ। ২২-২৩ মরশুমের প্রথম মুখোমুখিতে ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে দু’গোলে এগিয়ে থেকেও শেষে ২-৪-এ হারে এবং ফিরতি লেগে ৩-১-এ জেতে ওড়িশা। গত মরশুমে দ্বিতীয় লেগে এক মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তার পর দুই অর্ধে দু’গোল করে ম্যাচের শেষে ২-১-এ জিতে মাঠ ছাড়ে ওড়িশা। এ মরশুমের প্রথম ম্যাচে ওড়িশা জেতে ২-১-এ। প্রথমার্ধে রয় কৃষ্ণা ও দিয়ামান্তাকস গোল করে ১-১ করার পর ৬৯ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে হেডে গোল করেন মুর্তাদা ফল। (সৌ: আইএসএল মিডিয়া)
আরও পড়ুন: কোয়ার্টার ফাইনালে হার্দিক-ক্রুণালদের সামনে দৌড় শেষ বাংলার, ফের ট্রফি-শূন্য টুর্নামেন্ট
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।