বেঙ্গালুরু: গোটা টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চর্চা ছিল তাঁকে নিয়ে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে (Syed Mushtaq Ali T20) তিনি বল হাতে আগুন ধরালে, ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে উঠবেন, এই আশায় ছিলেন গোটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বল হাতে ব্যর্থ হলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বঢোদরার বিরুদ্ধে ৪ ওভারে খরচ করলেন ৪৩ রান। ২ উইকেট নিলেও, প্রতিপক্ষ ইনিংসের রান ওঠার গতিতে লাগাম পরাতে পারলেন না। প্রথমে ব্যাট করে বঢোদরা তুলল ১৭২/৭। জবাবে ১৮ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলা। ৪১ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বঢোদরা।
বঢোদরার জয়ে উজ্জ্বল হার্দিক পাণ্ড্য। ৬ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার। বুধবার তাঁকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বঢোদরার অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য। ব্যাট হাতে সফল হননি হার্দিক। ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন। কণিষ্ক শেঠের শিকার তিনি।
তবে বল হাতে সব খামতি যেন সুদে আসলে মিটিয়ে দিলেন হার্দিক। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচ করে তিন উইকেট। বাংলার ইনিংসকে জোরাল ধাক্কা দেন বঢোদরার পেসার অলরাউন্ডার।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলা। বঢোদরার দুই ওপেনার - শাশ্বত রাওয়াত ও অভিমন্যুসিংহ রাজপুত ঝোড়ো শুরু করেন। ২৬ বলে ৪০ রান করেন শাশ্বত। ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন অভিমন্যুসিংহ। ৯.৪ ওভারে ৯০ রান তোলেন দুজনে।
মাঝের ওভারগুলিতে বাংলার বোলাররা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান। যদিও বাংলার কৌশল অনেককে তাজ্জব করেছে। বাঁহাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেও তাঁকে দিয়ে পুরো কোটা শেষ করানো হয়নি।
রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই চার উইকেট হারায় বাংলা। ৪.৩ ওভারে ৩১/৪ হয়ে যায় লক্ষ্মীরতন শুক্লর প্রশিক্ষণাধীন দল। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট পড়ে যায়। একমাত্র লড়াই করেন শাহবাজ আমেদ। ৩৬ বলে ৫৫ রান করে তিনি আউট হতেই নিভে যায় বাংলার আশার প্রদীপ।
ফের এক টুর্নামেন্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বাংলাকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রফি শূন্যই থেকে গেল বাংলা।
আরও পড়ুন: ফিটনেস নিয়ে রোহিতের মন্তব্যে বেজায় চটেন শামি? অধিনায়কের সঙ্গে চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়!
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।