কলং: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে একপ্রকার প্রায় কাঁদিয়ে ছেড়েছিল দলটা। প্রথমবার ইউরো কাপের মঞ্চ। বলা ভাল প্রথমবার ফুটবলের কোনও বড় ইভেন্টে খেলতে নেমেই সুপার ষোলোতে পৌঁছে গিয়েছিল জর্জিয়া। রোনাল্ডোর দলের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সুপার ষোলোয় স্পেনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল জর্জিয়ার দলটি। স্পেনের আত্মঘাতী গোলের জন্য হলেও ম্য়াচের শুরুর দিকে এগিয়েও গিয়েছিল জর্জিয়া। কিন্তু ওইটুকুই। প্রথমার্ধে খেলায় সমতা ফেরানোর পর আর জর্জিয়াকে দাঁড়াতেই দিলেন না রড্রি, ফ্যাবিয়ান রুইজরা। এক গোলে পিছিয়ে থেকে শেষে ৪-১ গোলে ম্য়াচ জিতে কোয়ার্টারে চলে গেল স্পেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের রাউন্ডে মুখোমুখি হবে তারা।
খেলার শুরুতে ৬ মিনিটের মাথায় একটা সুযোগ তৈরি করে স্পেন। ১৬ বছরের তরুণ লামিন ইয়ামালের থেকে বল পেয়ে ক্রসে বল বক্সে পাঠান ডানি কার্ভাহাল। কিন্তু সেখান থেকে পা ছুঁয়ে বল জালে জড়াতে পারেননি পেদ্রি। এরপর ১৮ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল করে বসে স্পেন। এগিয়ে যায় জর্জিয়া। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালে ঢুকিয়ে দেন লে নর্মান্ড। তিন মিনিট পর ফ্যাবিয়ান রুইজের শট ঠেকিয়ে দেন মামারদাশভিলি।
গোল হজম করার পরেই ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয় স্পেন। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ছিল জর্জিয়ার ডি বক্সে। অবশেষে বিরতির আগে সমতা ফেরায় স্পেন। বক্সের বাইরে থেকে ৩৯ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে তা রড্রি বাড়িয়ে দেন উইলিয়ামসকে। সেখান থেকেই শটে গোল করেন ২১ বছরের তরুণ নিকো উইলিয়ামস। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরলাইন ছিল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে জর্জিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না কাভার্টস্কেলিয়ারা। তবে খেলার ৫১ মিনিটের মাথায় স্পেনের দ্বিতীয় গোলটি আসে। আরও একবার নিজের নৈপুন্যতা দেখান ইয়ামাল। তাঁর দুরন্ত ফ্রি কিক জর্জিয়ার গোলরক্ষক আটকে দিলে সেখানে ডানদিক থেকে বক্সের মধ্যে রুইজ পেয়ে যান বল। সেখান থেকে সহজ হেডে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
এরপর ৭৫ মিনিটে উইলিয়াসম ও ৮৩ মিনিটে ডানি ওলমো দলের হয়ে শেষ দুটো গোল করেন। জর্জিয়ার সব আশা শেষ হয়ে যায়।