গেলশেনকার্চেন: গ্রুপ লিগের ম্য়াচের পাররম্য়ান্সের পর অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞই বলেছিলেন যে ইংল্যান্ডের এই ইউরোতে খুব বেশিদূর যাওয়া হবে না। স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে খেলতে নামার আগে যদিও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন হ্য়ারি কেনরা। কিন্তু হিসেব পাল্টে দিয়েছিলেন ইভান শ্রাঞ্জ। খেলার ২৫ মিনিটের মাথায় গোল করে স্লোভাকিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নব্বই মিনিটে যেই গোলশোধ করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গেল সাউথগেটের ছেলেদের। অবশেষে অতিরিক্ত সময়ে গোলমুখ খুলতে পারলেন বেলিংহ্যাম ও হ্যারি কেন। পিছিয়ে থেকেও শেষে ২-১ গোলে জিতে শেষ আটে পৌঁছে গেল থ্রি লায়ন্সরা। কোয়ার্টারে তাঁদের সামনে স্যুইৎজারল্যান্ড।


এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলা চলছিল গেলশেনকার্চেনে। ইংল্যান্ড ধারে ভারে শক্তিশালী হলেও এদিন খেলাতে প্রথম থেকেই নজর কাড়ছিল স্লোভাকিয়া। খেলার ৭ মিনিটের মাথাতেই হারসলিনের শট অল্পের জন্য বারের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু তবুও গোলমুখ খুলতে বেশি সময় নেয়নি স্লোভাকিয়া। ডেভিড স্ট্রিলিচের পাস থেকে জোড়ালো শটে ডান পায়ে গোল করেন ইভান শ্রাঞ্জ। এগিয়ে দেন স্লোভাকিয়াকে। এরপর ক্রমেই নিজেদের ঝাঁঝ বাড়ানোর চেষ্টা করেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। 


 






দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ইংল্যান্ড। ফিল ফডেন, কাইল ওয়াকার, কোল পামারেরা অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করছিলেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলছিল না। বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন স্লোভাকিয়ার গোলরক্ষক দুব্রাভকা। বলের দখল ইংল্যান্ডের কাছে ছিল ৭৫ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে শটও অনেক বেশি ছিল। কাজের কাজটাই যা হচ্ছিল না। দুটো উইং ধরে এসে সাকা ও ফডেন চেষ্টা করছিলেন বল সাজিয়ে দিতে কেন ও বেলিংহ্য়ামকে। কিন্তু প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুটো দলই অ্য়াটাক ও কাউন্টার অ্য়াটাকে খেলা জমিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের একদম শেষ ৯০ মিনিটের মাথায় ইভান টোনি ও এবেরি ইজ়েকে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামান সাউথগেট। আর তাতেই কাজ হয়। ইজ়ের পাস থেকে বল বক্সে পেয়ে যান বেলিংহ্যাম। সেখান থেকেই দুরন্ত ব্যাকভলিতে গোল করেন তরুণ ইংরেজ তারকা। অতিরিক্ত সময়ে হেডে গোল করে স্লোভাকিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন হ্যারি কেন।