গেলেসেনক্রিক: গ্রুপ শীর্ষে থেকে নক আউটে পৌঁছানোটা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বলেই বাঁচােয়া। নইলে গতকালের জর্জিয়া ম্য়াচটা এমনিতেই ভুলতে চাইবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) ও তাঁর পর্তুগাল (Portugal Football Team) দল। ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বে সবার নীচে শেষ করা দলটির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হারতে হল পর্তুগালকে। ম্য়াচে পেনাল্টির আবেদন করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন। এমনকী পুরো ম্যাচে তাঁকে মাঠেই রাখলেন না কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। ৬৫ মিনিটেই তুলে নেওয়া হল বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারকে। অন্য়দিকে জোড়া গোলে ম্য়াচ জিতে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল প্রথমবার কোনও বড় টুর্নামেন্টে খেলতে নামা অনামী জর্জিয়া। 


এদিন খেলার শুরুতেই ২ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় জর্জিয়া। ইউরো কাপের ইতিহাসে দ্রুততম গোলের মালিক হয় গেলেন কারাতস্কেলিয়া। এই তরুণ স্ট্রাইকারের আইডল ক্রিশ্চিয়ানো। এদিন নিজের আইডলের সামনেই গোটা মাঠজুড়ে অনবদ্য ফুটবল উপহার দিলেন কারাতস্কেলিয়া। পর্তুগালের ডিফেন্ডার সিলভার ভুলে বক্সে বল পেয়ে যান তিনি। এরপর জোড়ালো শটে গোল করতে ভুল করেননি কারাতস্কেলিয়া। এদিন আগের ম্য়াচের আটজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। কিন্তু গোটা ম্য়াচে একের পর এক ভুল পাস, ছন্নছাড়া ফুটবল কিন্তু অবশ্যই ভাবাবে পর্তুগাল দলকে ও টিম ম্য়ানেজমেন্টকে। প্রথম ম্য়াচে চেকের বিরুদ্ধে সুপার সাব হিসেবে মাঠে নেমে গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন ফ্রান্সিস্কো কনসেসাও। এদিন উইং ধরে বারবার উঠছিলেন তিনি। আর ক্রসে রোনাল্ডোকে খােঁজার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা একেবারেই কাজে লাগাতে দেননি জর্জিয়ার ডিফেন্স। বিশেষ করে জর্জিয়ার গোলরক্ষকের কথা তাে আলাদা করে বলতেই হয়। পুরো ম্য়াচে একাধিক সেভ করলেন দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে। ১৭ মিনিটের মাতায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত একটা ফ্রি কিকও আটকে দেন তিনি। ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিমি গতিবেগে বল আটকে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। এরপর ৩০ মিনিটের মাথায় আসল নাটকীয় মোড় দেখা যায় ম্য়াচে। কর্নার থেকে হেড করতে উদ্যত হওয়া রোনাল্ডোর জার্সি টেনে ধরেন জর্জিয়ার ফুটবলার। সি আর সেভেন মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। এমনকী পেনাল্টির আবেদনও জানাতে থাকেন। তবে উল্টো রোনাল্ডোকেই হলুদ কার্ড দেখিয়ে দেন স্যুৎজারল্যান্ডের রেফারি। প্রথমার্ধে আর কোনও দল গোল করতে পারেনি।


দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরুতেই পর্তুগাল শিবিরে কিছু পরিবর্তন করা হয়। যার মধ্যে রোনাল্ডোকেও বসিয়ে দেওয়াটা উল্লেখযোগ্য। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় মার্তিনেজ রোনাল্ডোকে বসিয়ে গঞ্জালো রামোজকে নামানো হয়। যদিও তিনিও কিছু করতে পারেননি বাকি সময়। কিন্তু তার আগেই ৫৩ মিনিটের মাথায় অ্য়ান্টােনিও সিলভার বাজে ট্যাকেলের জন্য ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেওয়া হয় জর্জিয়াকে। সেখান থেকেই দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন জর্জিয়ার মিকাউতাজ়ে। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গােল করলেন তিনি। ইউরোতে পরের পর্বে যেতে হল এটা ছিল জর্জিয়ার কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ। সেই ম্য়াচে জিতে অবশেষে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল তারা। সেখানে স্পেনের মুখোমুখি হবে তারা।