স্টুটগার্ট: ইউরো কাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল জার্মানি (Germany Football Team)। স্টুটগার্টে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল ২০১৪ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। জার্মানির হয়ে গোল করেন জামাল মুসিয়ালা ও অধিনায়ক গুন্ডোগান। এর আগে স্কটল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল জার্মানরা। এবর হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে জয়। চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে জায়গা পাকা করল জার্মানি।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে শেষবার এমনটা হয়েছিল যে হাঙ্গেরি তাদের যে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম দুটো ম্য়াচেই হারল। প্রথম ম্য়াচে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও এবার জার্মানির বিরুদ্ধে। গ্রুপ এ-র অন্য ম্যাচে স্কটল্যান্ড যদি সুইৎজারল্যান্ডকে হারাতে ব্য়র্থ হয়, তবে প্রথম দুইয়ে থাকা অবস্থায় নক আউটে চলে যাবে জার্মানরা। এদিন খেলার ২২ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন মুসিয়ালা। নাগেলসম্য়ানের দলের তুরুপের তাস এই তরুণ চলতি টুর্নামেন্টে। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেও নজর কেড়েছিলেন। এদিনের ম্য়াচেও গোলের খাতা খুললেন তিনিই। প্রথমার্ধে এরপর আর কোনও দল গোল করতে পারেননি। প্রথমার্ধে হাঙ্গেরি সাতবার গোলমুখে শট মেরেছিলেন। অন্যদিকে জার্মানি আটবার শট মেরেছিলেন। ৭২ শতাংশ বল পজিশন ছিল জার্মানদের। কিন্তু বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন হাঙ্গেরির ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির হয়ে ব্যবধান বাড়ান অধিনায়ক গুন্ডোগান। মুসিয়ালা এখানেও গোলের ক্ষেত্রে অবদান রাখেন নিজের। লং বলে পাস বাড়িয়েছিলেন ম্য়াক্সিমিলিয়ান মিট্টেলস্টাডকে। তিনি ক্রস করে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন বার্সা মিডফিল্ডারকে। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি গুন্ডোগান। চলতি ইউরােতে জার্মানি এখনও পর্যন্ত মোট ৭ গোল করেছে। গ্রুপ পর্বে যে কোনও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বাধিক গোল এটি জার্মানদের। জার্মানির গোলরক্ষক ম্য়ানুয়াল ন্যুয়ার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ১৭ বার খেলতে নামলেন। ইতালির বুফোনের সঙ্গে একই সারিতে রয়েছেন ন্যুয়ার।
এদিনের ম্য়াচে টনি ক্রুস মোট ১২৪টি পাস দিয়েছেন। একজন মিডফিল্ডার হিসেবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় সর্বাধিক যা। এর আগে ২০১২ ইউরোতে স্পেনের জাভি সর্বাধিক ১২৭টি পাস দিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০১২ ইউরোর পর থেকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার পরপর দুটো ম্য়াচে জিতল জার্মানি।