স্টুটগার্ট: বড় টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল ঠিক যেরকম হওয়া উচিত ছিল, সব উপকরণই মজুত ছিল স্টুটগার্টে।


আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমজমাট ম্যাচ। গোলশূন্য প্রথমার্ধ। কখনও গোলকিপার নিশ্চিত গোল বাঁচাচ্ছেন, তো কখনও পোস্টে ধাক্কা খেয়ে ফিরছে সুযোগ। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে এক দলের এগিয়ে যাওয়া। যখন ঘরের মাঠে আর এক দলের হার কার্যত নিশ্চিত, তখনই নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। গোল করে সমতায় ফেরানো। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। আবার যখন মনে হচ্ছে ম্যাচ গড়াচ্ছে টাইব্রেকারে, ঠিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই গোলে ম্যাচের ফয়সালা। সঙ্গে ৪২ ফাউল, লাল কার্ড, কী নেই!


স্টুটগার্টে ইউরো কাপের (EURO CUP) কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি বনাম স্পেন (Germany vs Spain) জমজমাট লড়াইয়ের শেষে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল লা রোহা শিবির। জার্মানিকে তাদের ঘরে মাঠে ২-১ গোলে হারালেন আলভারো মোরাতারা। পৌঁছে গেলেন সেমিফাইনালে।


ম্যাচের শুরুতেই চাপ তৈরি করেছিল স্পেন। মুহূর্মূহূ আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে জার্মানির বক্সে। জার্মানির টোনি ক্রুস কড়া ট্যাকল করেন পেড্রিকে। হলুদ কার্ড দেখতে পারতেন। রেফারি ফাউল দিলেও, কার্ড দেখাননি। ক্ষতি হয় স্পেনের। কারণ, চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান পেড্রি। এই টুর্নামেন্টেই হয়তো তিনি আর মাঠে নামতে পারবেন না।


ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন দানি অলমো (Dani Olmo)। ইয়ামালের পাস ধরে গোল করেন তিনি।


গোল হজম করার পরই অবশ্য জার্মানির খেলার ধার বাড়ে। পরপর আক্রমণ ধেয়ে যায় স্পেন বক্সের দিকে। চাপের মুখে বেশ কয়েকবার গোল বাঁচান স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন (Unai Simon)। ৭৭ মিনিটে ফুলক্রুগের শট পোস্টে লাগে। ৮৯ মিনিটে উইর্ৎজ় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।


অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ১১৯ মিনিটে মাইকেল মেরিনো দুরন্ত হেডে গোল করে স্পেনকে ২-১ এগিয়ে দেন।



ঘরের মাঠে ইউরো কাপ হচ্ছে। জার্মানি ছিটকে যাওয়ায় টুর্নামেন্টের জৌলুস যেন অনেকটাই কমে গেল স্থানীয়দের কাছে। গত ইউরো কাপ, বিশ্বকাপের পর ফের একবার হতাশাই সঙ্গী হল জার্মানির।


আরও পড়ুন: সাহস হয় কী করে! ভারতের কোন ক্রিকেটারকে বললেন প্রধানমন্ত্রী?





আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।