দোহা: কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) আর অঘটন যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। ফের ছোট দলের হাতে বড় দলের যন্ত্রণার হার। বিশ্বকাপে যাদের অন্যতম ফেভারিট মনে করা হচ্ছিল, সেই বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে চূর্ণ করল মরক্কো (Belgium vs Morocco)।


মরক্কো ম্যাচ জিততেই জমে উঠেছে গ্রুপ এফ-এর পয়েন্ট টেবিল। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে শীর্ষে উঠে এল মরক্কো। ২ ম্যাচের একটি জিতে আর একটি পরাজিত হয়ে ৩ পয়েন্ট কেভিন দ্য ব্রুইনদের ঝুলিতে। তাঁরা রয়েছেন তালিকায় দুই নম্বরে। তিনে রয়েছে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। প্রথম ম্যাচ ড্র করে ১ পয়েন্ট রয়েছে ক্রোটদের ঝুলিতে। কানাডা ১ ম্যাচ খেলে কোনও পয়েন্ট না পেয়ে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলে সকলের নীচে। রবিবারই মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া ও কানাডা। সেই ম্যাচের পর পাল্টে যেতে পারে গ্রুপের ছবি।


বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে গোল করলেন মরক্কোর আবদেলহামিদ সাবিরি ও জাকারিয়া আবৌখলাল। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৩ মিনিটের মাথায় বেলজিয়াম বক্সের বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পায় মরক্কো। সেট পিস থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে সূক্ষ কোণ থেকে গোল করেন সাবিরি। বিশ্বের দু নম্বর দল বেলজিয়ামের গোলকিপার থিবো কুর্তুয়াও কার্যত কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। 



এরপর ম্যাচের ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে মরক্কোর হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন জাকারিয়া আবৌখলাল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে মরক্কোর মাত্র তৃতীয় জয় ছিল এটা।

 

জাপানের হার


বিশ্বকাপে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল জাপান। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল জাপান। গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্পেনের কাছে ৭ গোলে হেরেছিল কোস্তা রিকা। যে ফলের পর আশঙ্কা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, রাশিয়া বিশ্বকাপের মতোই কাতারেও না গ্রুপ থেকেই ছিটকে যেতে হয় জার্মানিকে।


কিন্তু থোমাস মুলারদের অক্সিজেন দিয়ে গেল কোস্তা রিকা। রবিবার তারা জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল। সেই সঙ্গে গ্রুপ ই-তে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এল। রবিবার জার্মানি যদি স্পেনকে হারিয়ে দেয়, বা, ম্যাচ ড্র করে, তাহলেও শেষ ষোলোয় যাওয়ার দৌড়ে থাকবে।


ম্যাচের শুরু থেকে বারবার কোস্তা রিকা বক্সে আক্রমণ শানিয়েছেন জাপানের ফুটবলাররা। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেননি। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে, ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় জাপান ডিফেন্ডারের ভুলে বল চলে যায় কোস্তা রিকার ফুটবলার কীশার ফুলারের পায়ে। সুযোগসন্ধানী ফুলার গোল করতে ভুল করেননি। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে এই গোল খেয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জাপান। শেষ দিকে মরিয়া হয়ে কোস্তা রিকা বক্সে বেশ কয়েকবার আক্রমণ তুলে আনেন জাপানের ফুটবলাররা। কিন্তু কোস্তা রিকার বড় চেহারার ফুটবলারদের সামনে আটকে যান। একবার কার্যত গোললাইন সেভ করেন কোস্তা রিকার গোলকিপার। শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল এশিয়ার দলকে।


আরও পড়ুন: সৌদি আরবের কাছে ২ গোল হজম করে মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন আর্জেন্তিনার গোলকিপার