দোহা: বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র হাতে গোনা দিন বাকি। রবিবারই শুরু হতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA WC 2022)। তবে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। সেই সমালোচনা এখনও অব্যাহত। এরই মাঝে কাতার সরকারের তরফে জারি এক বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে ফের সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কাতার পর্যটন দফতরের (Qatar Tourism) ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তি।


দর্শকদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি


কাতার পর্যটন দফতরের তরফে বিশ্বকাপ দেখতে আগত সকল দর্শকদের জন্য পোশাকবিধি সম্পর্কে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মরুদেশে আগত সকল সমর্থকদের সেই দেশের সভ্যতার কথা মাথায় রেখেই পোশাক পরার অনুরোধ করা হয়েছে। কাতার পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্য়মে জানানো হয়েছে, 'কাতারে পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে আগত সকল দর্শকদের (মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে) থেকে আশা করা হচ্ছে তারা দেশের সভ্যতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অত্যাধিক উন্মুক্ত পোশাক পরবেন না। পুরুষ এবং মহিলা, উভয়ের জন্যই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তারা যেন এমন পোশাক পরেন যাতে তাদের কাঁধ ও হাঁটু ঢাকা থাকে।'


পোশাকবিধি ছাড়াও কাতার বিশ্বকাপে আগত দর্শকদের জন্য একাধিক বিধিনিষেধ অপেক্ষা করে রয়েছে। সেই দেশের আইন কানুন ও মানুষদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই মদ্যপান, যৌনতা, নেশাজাত দ্রব্য সেবন ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম সেই তালিকায় এক নতুন সংযোজন মাত্র।


সেরা বিশ্বকাপ


বিশ্বকাপ শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন "সিআর৭'। তাঁর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। ক্লাবের সঙ্গে রীতিমতো সংঘাতের পরিস্থিতি। রোনাল্ডো নিজে অবশ্য পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে চান বিশ্বকাপে। ফিফার ওয়েবসাইটে পর্তুগালের মহাতারকা বলেছেন, সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে কাতার। প্রস্তুতি দেখে খুশি তিনি। দেশের হয়ে সেরা ফুটবল খেলে তিনি পর্তুগালের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চান বলেও জানিয়েছেন রোনাল্ডো। 


রোনাল্ডোর মতে, কাতারে এমন কিছু বিষয় অপেক্ষা করে রয়েছে যে কারণে পর্তুগাল তাদের সেরা ফুটবল খেলবে। বিশেষ করে তাঁর সতীর্থরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে মুখিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোনাল্ডো। এই প্রথম শীতে আয়োজিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। সেটা নিয়েও উচ্ছ্বসিত রোনাল্ডো।


আরও পড়ুন: নতুন কোচের অধীনে আরও আগ্রাসী জার্মানি, ইউরোর হতাশা ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া ন্যাব্রিরা