দোহা: অঘটন না ঘটালেও, ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিল মরক্কো (Croatia vs Morocco)। ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, ফুটবলে বিশ্বের সেরা দলগুলির সঙ্গে তথাকথিত ছোট দলের ব্যবধান কমছে।


বুধবার এল বেইত স্টেডিয়ামে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়াকে আটকে দিল মরক্কো। ম্য়াচ শেষ হল গোলশূন্যভাবে। ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই বলের দখল ছিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ভোগাল ক্রোটদের। প্রথমার্ধে নিকোলা ভ্লাসিচ ছাড়া আর কেউ গোল করার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছতেই পারেননি। মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বৌনু ভ্লাসিচের সেই প্রয়াস রুখে দেন। 


দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াকু ফুটবল উপহার দেয় মরক্কো। একবার তো প্রায় গোলমুখ খুলেই ফেলেছিল। ক্রোট গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ দুরন্ত সেভ না করলে হয়তো ক্রোয়েশিয়াই গোল হজম করে বসত। মরক্কোর নৌসির মাজরাউইয়ের হেড রুখে দেন লিভাকোভিচ। এছাড়া আরও কয়েকবার মরক্কোর আক্রমণ রুখে দেন ক্রোট গোলকিপার। ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।


 




ফ্রান্সকে সমীহ


শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৯ মিনিট। গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোল করে দেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইন (Craig Goodwin)। মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্তিনার অঘটনের হার নিয়ে তখনও চর্চা চলছে। সেই রেশ কাটার আগেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে গোল হজম করে বসেন কিলিয়ান এমবাপেরা। গোটা ফুটবল বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়ে যায়, ফের কি কোনও অঘটন অপেক্ষা করে রয়েছে?


কিন্তু আর অঘটন ঘটেনি। বরং গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স (France vs Australia)। এবং অস্ট্রেলিয়াকে চার গোল দেয়। ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে এমবাপে, অলিভিয়ের জিহুরা দেখিয়ে দেন, কেন এবারও তাঁদের কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে।


ম্যাচের শেষে ফ্রান্সের আধিপত্য মেনে নেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড। তিনি বলেছেন, 'দিনের শেষে ফ্রান্স দলের মান যে কী দুর্দান্ত, সেটা মেনে নিতেই হবে। সেই কারণেই ওরা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। আমরা ম্যাচটা খুব ভাল শুরু করেছিলাম। কিন্তু শারীরিক দিক থেকে ওরা এত উন্নত আর দ্রুত গতির যে আমরা পাল্লা দিতে পারিনি। না হলে ছেলেরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছে এবং আমার এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার ছিল না।'


আরও পড়ুন: আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা, বুধবার জাতীয় ছুটি ঘোষণা সৌদি আরবে