দোহা: গোটা ম্যাচে তূল্যমূল্য লড়াই। খাতায় কলমে কয়েক ক্রোশ এগিয়ে থেকে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল উরুগুয়ে। কিন্তু মাঠে নব্বই মিনিটের জন্য লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক চুলও ছাড়লেন না। কিন্তু গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হল ২ দলই। শেষ মুহূর্তে ভালভার্দের একটি জোড়ালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। ব্যস, শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য় ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ২ দলকে।


এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ২ দল। ম্যাচ শুরুর আগে সবাই হয়ত উরুগুয়েকে এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু সেই মনস্তাত্বিক চাপটা আরও বেশি করে যাতে বেসামাল করে দেয় সুয়ারেজ বাহিনীকে, সেই সুযোগই খুঁজছিল দক্ষিণ কোরিয়া। শুরু থেকেই পাওলো বেন্তোর দল উরুগুয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন।  সন হিউং-মিন এদিন দুর্দান্ত খেলেন। যদিও তিনিও একেবারে ডি বক্সে ঢুকে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন বারবার। ১৮ মিনিটের মাথায় একবার ভালভার্দের শট বারে লেগে ফিরে আসে। 


এরপর দক্ষিণ কোরিয়া ভাল সুযোগ পেয়েছিল ৩৩ মিনিটের মাথায়। হওয়াং হি-চানের শট বারের উপর দিয়ে যায়। ৪২ মিনিটের মাথায় গোডিনের হেড বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬৩ মিনিটে নুনেজ বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ানোর চেষ্টা করলে তা রুখে দেন কোরিয়ান গোলরক্ষক কিম সেউং-জিউ। ৮৯ মিনিটের মাথায় ভালভার্দের শট পোস্টে প্রতিহত হয়।


ক্যামেরুনকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু স্যুইৎজারল্যান্ডের
রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। তাই কাতার বিশ্বকাপে ভাল পারফর্ম করার ব্য়াপারে বেশি করে উদ্যমী ছিল ক্যামেরুন । বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ খেলতে নেমেছিল তারা। প্রতিপক্ষ ছিল স্যুইৎজারল্যান্ড। যদিও অভিযানটা খুব একটা সুখকর হল না ক্যামেরুনের। ১-০ গোলে হারতে হল তাদের। 


বিশ্বকাপে নিজেদের শুরুর ম্যাচে ১৯৬৬ সালে শেষবার হারতে হয়েছিল স্যুইৎজারল্যান্ডকে। এরপর থেকে ৬ বারের বিশ্বকাপ খেলতে নেমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কখনওই হারেনি সুইসরা। সুইসরা ইউরো ২০২০-এ কোয়ার্টার ফাইনালে স্যুইৎজারল্যান্ড জায়গা করে নিয়েছিল। অন্যদিকে আফ্রিকান নেশন্স কাপে ক্যামেরুন তৃতীয় স্থান লাভ করেছিল। তবে এদিনের ম্যাচে তফাৎ গড় দিলেন স্যুইৎজারল্যান্ডের এম্বোলো। প্রথমার্ধের ৪৮ মিনিটের মাথায় তাঁর করা গোলেই এগিয়ে যায় স্যুইৎজারল্যান্ড। পুরো ম্যাচ আর কেউই গোল করতে পারেনি। সবচেয়ে আশ্চর্যের যে এম্বোলো জন্মগতভাবে ক্যামেরুনের বাসিন্দা। দেশের জার্সিতে শেষ তিনটি ম্যাচে টানা গোল করলেন তিনি।