দোহা: তাঁরা মাঠে নামা মানেই কমলা ঝড়। টোটাল ফুটবলের সঙ্গে বিশ্বের পরিচয় করিয়েছিল তারা। যা ফুটবলের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছিল। সেই নেদারল্যান্ডস বড় ধাক্কা খেয়েছিল ২০১৮ সালে। রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ডাচরা।
ফের বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরেছেন ডাচরা। তবে গ্রুপ আল থামামা স্টেডিয়ামে তাঁদের বেশ লড়াই করতে হল সেনেগালের বিরুদ্ধে। ম্যাচে সেনেগাল টানা এমন চাপ রেখেছিল যে, মনে হচ্ছিল অঘটন না হয়। যখন তখন গোল দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করছিল আফ্রিকার দেশ।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাসি মুখেই মাঠ ছাড়লেন ডাচরা। ম্যাচের শেষ লগ্নে দুরন্ত হেডে গোল করে ডাচদের এগিয়ে দিলেন কোডি গ্যাকপো। ইনজুরি টাইমে ২-০ করলেন হেনরিক ক্লাসান। ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল নেদারল্যান্ডস।
ফুরফুরে মেসি
প্রত্যেক ম্যাচের আগে বাধ্যতামূলক সাংবাদিক সম্মেলন। তিনি নিজে না এসে কোচ বা সতীর্থ কাউকে পাঠিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু নিজে হাজির হয়ে গেলেন মেসি। ফুরফুরে। খোশমেজাজে। এবং নিজের ফিটনেস নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনাকে মাঠের বাইরে ফেললেন।
কথা বলতে শুরু করলেন মেসি। গোটা হলঘর যেন তাঁর মুখ থেকে উচ্চারিত প্রত্যেকটি শব্দ গিলছে। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটেয় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়ে অভিযান শুরু আর্জেন্তিনার। মেসি বললেন, 'আমি শারীরিকভাবে দারুণ জায়গায় রয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে ও শারীরিকভাবে দারুণ একটা মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার কোনও সমস্যা নেই। অনেকে বলছেন আমি আলাদা প্র্যাক্টিস করছি। আমার একটা আঘাত লেগেছিল বলে আলাদা প্র্যাক্টিস করছিলাম। সেটা তো স্বাভাবিক।'
তার আগেই গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটা ছবি। মেসির ডান পায়ের ফোলা গোড়ালি। যা মোজার ওপর থেকেও বোঝা যাচ্ছে। যদিও চোটের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন মেসি স্বয়ং। তিনি জানিয়েছেন, বছরের অন্য একটা সময়ে খেলা হচ্ছে বলে এবারের বিশ্বকাপটা বেশ আলাদা রকমের। পাশাপাশি মেসি বলেছেন, 'আমি কোনও আলাদা প্রস্তুতি নিচ্ছি না। ম্যাচ খেললেই আমার ভাল অনুভূতি হয়। আমি খেলার মধ্যে থাকলেই স্বস্তি পাই। বিশ্বকাপের আগেও সেটাই করেছি। আলাদা কিছু করছি না।'
আরও পড়ুন: ঝাঁ চকচকে রুম, কাতারে মেসির অন্দরমহলে উঁকি মারবেন?