মিউনিখ: ধুমধাম করে শুরু হয়ে গেলে উয়েফা ইউরোর (UEFA Euro 2024) মহারণ। আর টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই ইতিহাস গড়ে ফেলল জার্মানি ফুটবল দল (Germany Football Team)। নিজেদের ইউরোর ইতিহাসে সবথেকে বড় ব্যবধানে জয় পেলেন ইলকায় গুন্দোয়ান, টনি ক্রুসরা। স্কটল্যান্ডকে ৫-১ স্কোরলাইনে পরাজিত করল জার্মানি। ম্যাচে সম্ভবত জার্মান সমর্থকদের সবথেকে সন্তুষ্ট করবে দলের তরুণ, অভিজ্ঞ, উভয় দিকের খেলোয়াড়রাই নিজেদের অবদান রাখলেন। একদিকে যেখানে জামাল মুসিয়ালা (Jamal Musiala), ফ্লোরিয়ান রিটসরা গোল করলেন, সেখানে গোটা মাঝমাঠে দাপট দেখালেন অভিজ্ঞ টনি ক্রুস (Toni Kroos)। 

  


২০১০ সালে মিউনিখেই নিজের প্রথম ইউরো ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন টনি ক্রুস। সেই মিউনিখেই নিজের কেরিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টের শুরুটা করলেন জার্মান মিডফিল্ডার। ১০২টি পাসের মধ্যে ১০১টি সফল পাস দেন ক্রুস। ফের একবার তাঁর দক্ষতার সাক্ষী থাকল ফুটবলবিশ্ব। ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিটেই তরুণ জার্মান তারকা রিটস গোল করে জার্মানের হাতে ম্যাচের রাশ তুলে দেন। তাঁর নয় মিনিট পরেই আরেক তরুণ মুসিয়ালা শট তা কার্যত জাল ফুঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই জার্মানি নিজেদের লিড আরও বাড়িয়ে নেয়। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করেন কাই হ্যাভার্টস। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রায়ান পোরটিয়াস লাল কার্ড দেখায় স্কটল্য়ান্ড ১০ জনে নেমে যায়।


দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার কাজটা ১০ জনের স্কটল্যান্ডের জন্য এমনিই বিরাট চাপের ছিল। সেটা কার্যত অসম্ভব করে তোলেন নিকোলাস ফালকার্গ। পরিবর্ত হিসাবে নেমে ৬৭ মিনিটে জার্মানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। ৮৭ মিনিটে স্কটল্যান্ডের ব্যবধান একটু কমে। যদিও এক্ষেত্রেও গোল আসে জার্মান ফুটবলারের পা থেকেই। টনি রুডিগার আত্মঘাতী গোল করে বসেন। তবে এই গোল স্রেফ সান্ত্বনাই ছিল। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে এমরি চ্যান জার্মানির হয়ে ম্যাচের পঞ্চম তথা শেষ গোলটি করেন। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে গোল জার্মান মিডিও। জার্মানির ইউরো ইতিহাসে তো বটেই, এটি ইউরোর ইতিহাসে প্রথম ম্যাচে কোনও দলের সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ইউরো কাপে শনিবার স্পেন-ক্রোয়েশিয়া ধুন্ধুমার লড়াই, কখন-কোথায় দেখবেন ম্যাচ?