শিলং: তিনি ফিরলেন। তিনি অবসর ভেঙে ফিরলেন। তিনি রাজার মত ফিরলেন। তিনি গোল করে ভারতকে ম্য়াচও জেতালেন। চল্লিশ পেরিয়ে এখনও প্রাণবন্ত সুনীল ছেত্রী (Sunil Chetri)। অবসর ভেঙে ভারতীয় দলের জার্সিতে ফিরে এসেই গোল করলেন সুনীল ছেত্রী। মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্য়াচে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। মানোলো মার্কেজের কোচিংয়ে এই প্রথম কোনও ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় ফুটবল দল। ৩-০ ব্যবধানে মলদ্বীপকে হারিয়ে দিল ভারতীয় ফুটবল দল।
শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মুখােমুখি হয়েছিল ভারত- মলদ্বীপ। মানলো মার্কেজের অনুরোধেই অবসর ভেঙে এই ম্য়াচে দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন সুনীল। ম্য়াচে নেতৃত্বভারও দেওয়া হয়েছিল তাঁর কাঁধে। শুরুতে কিছুটা ছন্নছাড়া মনে হচ্ছিল তাঁকে। কারণ দীর্ঘ কয়েক মাস খেলার বাইরে। ২৫ মার্চ এই স্টেডিয়ামেই এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। তার আগে এই ম্য়াচ ছিল ড্রেস রিহার্সাল। এদিন খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেছিল ভারতীয় দল। পাসিং ফুটবলেই এদিন প্রতিপক্ষকে বিঁধে ফেলার ছক কষেছিলেন মার্কেজ। খেলায় প্রথম গােলটি ভারত পায় ৩৫ মিনিটের মাথায়। ব্রেন্ডন ফের্নান্দেসের কর্নার থেকে হেডে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন রাহুল। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল পায়নি কোনও দলই।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। চোট পাওয়া ব্রেন্ডনের পরিবর্তে মার্কেজ নামান ফারুখ চৌধুরীকে। তিনি প্রথমার্ধের শেষে একটি সুযোগ পেলেও সেই সুযোগ নষ্ট করেন।
শিলংয়ের মাঠে খেলার শুরু থেকেই ভারতের আক্রমণ। দুই প্রান্ত ধরে লিস্টন কোলাসো ও মহেশ নাওরেম সিংহ আক্রমণে উঠছিলেন। ছোট ছোট পাসে খেলছিল ভারত। শুরুর কয়েক মিনিটেই কয়েক বার বল ভেসে আসে মলদ্বীপের বক্সে। কিন্তু গোল আসেনি। এই ম্যাচে শুরুতে সুনীলের জুটি ছিলেন ভালপুইয়া। ভাল দেখাচ্ছিল সুনীলকে। ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের (১২৬) থেকে ৩৬ ধাপ নীচে থাকা মলদ্বীপ (১৬২) গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলছিল। কিন্তু কত ক্ষণ আর সে ভাবে খেলা যায়। হলও তাই।
ভারতের আসল লড়াই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে অবশ্যই সবার লক্ষ্য থাকবে ভারতীয় ফুটবল দল কেমন খেলে তার দিকে। এর মধ্যে বাংলাদেশ দলে ঢুকেছেন এফ এ কাপ জেতা হামজা চৌধুরী। তিনি কিন্তু বেগ দিতে পারেন ভারতকে।