মুম্বই: মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে হারিয়ে মুম্বই সিটি এফসি-র আইএসএল কাপ জয়ে দলের যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তাদের তালিকায় অবশ্যই থাকবেন তাদের গোলরক্ষক ফুর্বা লাচেনপা, যাঁকে সেরা গোলকিপারের পুরষ্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ দেওয়া হয়েছে এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। 


মুম্বই প্রতিটি ম্যাচেই শুরু থেকে খেলেন ফুর্বা এবং সারা মরশুমে এমন অসাধারণ কিছু সেভ করেছেন তিনি, যা অনেকেরই অনেকদিন মনে থাকবে। এই সেভগুলিই গোলকিপার হিসেবে তাঁর দক্ষতা ও তীক্ষ্ণতার প্রমাণ দেয়। ২২টি ম্যাচের মধ্যে ন’টিতেই কোনও গোল খাননি ২৬ বঠর বয়সী এই তরুণ গোলকিপার। ক্রসবারের নীচে তিনি কত বড় ভরসা, এ তারই প্রমাণ। প্রতিটি ম্যাচে সতীর্থদের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে দলের রক্ষণকে জমাটবদ্ধ করে রাখার যে ক্ষমতা তাঁর রয়েছে, তাও প্রশংসার যোগ্য


মুম্বইয়ের দলের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে অবশ্যই তিনি থাকবেন। সারা লিগে মুম্বই সিটি এফসি যে সবচেয়ে কম গোল খেয়েছে (১৯), এর কৃতিত্ব যেমন দলের রক্ষণের, তেমনই গোলকিপারেরও। সব মিলিয়ে ৪২টি সেভ করেছেন তিনি। ১২টি পাঞ্চ করেন তিনি ও ছ’টি বল ক্যাচ করেন। ২১ বার ক্লিায়ারেন্স করেন। অর্থাৎ একাধারে তিনি যেমন গোলপ্রহরী, তেমনই তিনি এক ডিফেন্ডারও, যাঁর ওপর অবশ্যই ভরসা করা যায়। 


এ বারের আইএসএলে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাঁকে। দু’বার হলুদ কার্ড ও একবার লাল কার্ডও দেখতে হয়েছে তাঁকে। তবু নিজের ফোকাস নড়তে দেননি কখনও। বরং যত লিগ এগিয়েছে, তত বেশি পরিশ্রম করেছেন ফুর্বা। দলের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ও অঙ্গীকার, যে কোনও ফুটবলারের কাছেই শিক্ষণীয়। তাঁর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অদম্য মানসিকতাও অসাধারণ। 


এ বারের লিগের শুরুটাই তিনি করেন অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সারা ম্যাচে একটি গোল খান তিনি। বক্সের মধ্যে পাঁচটি দুর্দান্ত সেভও করেন। মুম্বই সেই ম্যাচে এক গোলের ব্যবধানে জেতে। 


এ মরশুমে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স দেখা যায় বেঙ্গালুরু এফসি, এফসি গোয়া ও চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে। এই তিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের গোলে রীতিমতো আধিপত্য বিস্তার করেন ফুর্বা। তিন দলের বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে ছ’টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই ক্লিন শিট রাখেন তিনি।