কলকাতা: ঘরের মাঠে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে (Mohun Bagan Supergiant)। যে ঘটনা শেষবার ঘটেছিল ২০২৩-এর ২৭ ডিসেম্বর। সে দিন কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) কাছে ০-১-এ হেরেছিল নতুন বছরআইএসএলে একটিও ম্যাচে না হারা সবুজ-মেরুন বাহিনী। তাদের আটটি অপরাজিত ম্যাচের দৌড় থামাল লিগ টেবলের এগারো নম্বর জায়গায় থাকা চেন্নাইন এফসি। রবিবার তারা ৩-২-এ জিতে উঠে এল লিগ টেবলের নয় নম্বরে। অপ্রত্যাশিত এই হারের ফলে মোহনবাগান লিগ শিল্ডের দৌড়ে মুম্বই সিটি এফসি-র চেয়ে পিছিয়ে পড়ল। দুই দলেরই ১৯টি করে ম্যাচের পর মুম্বইয়ের সংগ্রহ ৪১ ও মোহনবাগানের ৩৯।


অসুস্থতার জন্য এ দিন দলের সঙ্গে মাঠে আসতে পারেননি দলের হেড কোচ আন্তোনিও হাবাস। ছন্দে ছিলেন না দলের অন্যতম সেরা গোলদাতা দিমিত্রিয়স পেট্রাটসও। ফলে বিরতিতে এক গোলে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও জয়ের হাসি মুখে নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না আরমান্দো সাদিকুরা। ম্যাচের শেষ ২৫ মিনিটের মধ্যে তিন-তিনটি গোল করে তাদের লিগশিল্ড জয়ের স্বপ্নে বড়সড় আঘাত করল ওয়েন কোইলের দল। 


প্রথমার্ধে জনি কাউকোর গোলে এগিয়ে যাওয়া মোহনবাগান ৭২ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল খায়। জর্ডন মারের এই গোলের পর ৮০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেন বিদেশী ডিফেন্ডার রায়ান এডওয়ার্ডস। স্টপেজ টাইমের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতা এনে দেন পেট্রাটস। কিন্তু একেবারে শেষ মিনিটে জয়সূচক গোল করে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারিকে নিস্তব্ধ করে দেন চেন্নাইনের পরিবর্ত ফরোয়ার্ড ইরফান ইয়াডওয়াড।  


এ দিন হাবাসের জায়গায় দল পরিচালনা করেন তাঁর সহকারী মানুয়েল পেরেজ। গত ম্যাচের দলে দু’টি পরিবর্তন করে এদিন প্রথম এগারো নামায় সবুজ-মেরুন বাহিনী। আশিস রাই ও সহাল আব্দুল সামাদের জায়গায় দলে আসেন অভিষেক সূর্যবংশী ও লিস্টন কোলাসো। দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ও আরমান্দো সাদিকুকে সামনে রেখে ৩-৫-২-এ খেলা শুরু করে তারা। অন্যদিকে, জর্ডন মারে ও ফারুখ চৌধুরিকে সামনে রেখে ৪-১-২-১-২-এ দল সাজান চেন্নাইন কোচ ওয়েন কোইল। রাফায়েল ক্রিভেলারো ও কোনর শিল্ডস-ও এ দিন শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন।